পাবনার ৪ উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বজ্রপাতে নারীসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রুবিয়া খাতুন ও সম্রাট হোসেন মারা যান শুক্রবার (৫ জুন) বিকেলে। আর অন্যরা মারা যান গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার তেলিগ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লা (১৯), সুজানগর উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের আ: জলিল (৫০), একই উপজেলার রাইশিমুল গ্রামের সম্রাট হোসেন (১৫), সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের রুবিয়া খাতুন (৪০), আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের সঞ্জয়পুর চকপাড়া প্রামের আবুল হাশেম (৩০)।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলেজছাত্র নুরুজ্জামান তার বাড়ির পাশে একটি মাঠে ঘাস কাটতে যায়।এরই মধ্যে প্রবল বৃষ্টি এবং বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নুরুজ্জামান শাঁখারীপাড়া সুধীর কুমার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পাস করেন।এদিকে সুজানগর উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের আ. জলিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি মৃত রমজান সরদারের ছেলে।
এছাড়া আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের সঞ্জয়পুর চকপাড়া বাসিন্দা এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবুল হাশেম বাড়ির পাশের মাঠে ঘুড়ি উড়াতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সে সঞ্জয়পুর চকপাড়া প্রামের লবাই প্রামাণিকের ছেলে।
এদিকে সুজানগর উপজেলার দুলাই মডেল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহাজাহান জানান, সম্রাট শুক্রবার (৫ জুন) দুপুর ৩টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে বজ্রপাতে মারা যান। সম্রাট দুলাই ইউনিয়নের রাইসিমুল গ্রামের শাহজাহান হোসেনের ছেলে।
সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ জানান, শুক্রবার (৫ জুন) বিকেলে ধুলাউড়ি গ্রামের রুবিয়া খাতুন (৪০) নামের এক নারী মারা গেছেন। তিনি ওই সময়ে নিজ বাড়ির পাশে মরিচের ক্ষেতে মরিচ তুলতে গিয়েছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তিনি ওই গ্রামের আফসার আলী খানের স্ত্রী।
এদের সবার মৃত্যুর ঘটনার বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা নিশ্চিত করেন।