২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পিরোজপুরে গৃহবধূর হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গৃহবধূর হাত ভাঙার ঘটনায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। এমনকি আহত ভুক্তভোগীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের আবুল হাসেমের পুত্র কামাল হোসেন এবং স্থানীয় চাঁন মিয়ার সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ৭ জুলাই কামাল হোসেন নিজের ক্রয়কৃত জমিতে বসত ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ চাঁন মিয়ার জামাতা এবং কচুবাড়িয়া গ্রামের মৌজে আলীর পুত্র মিজান নিজেদের লোক ও অপরিচিত ১০/১৫ জন লোক নিয়ে নতুন ঘরের কাঠামো ভেঙে ফেলে। এতে বাঁধা দিলে দুর্বৃত্তরা কামাল ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে খুন করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলায় রোকেয়া বেগমের বাম হাত ভেঙে যায়। এ সময় কামাল হোসেনকে বেধড়ক মারধর শুরু করলে নিকটস্থ পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে কোন রকম প্রানে বেঁচে যায়।

ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানায় অবগত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রোকেয়া বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মঠবাড়িয়া হাসপাতালের রেজিঃ নং – ৯৯৫০/৬ তাং- ০৭/০৭/২০২১। বরিশাল মেডিকেলের রেজিঃ নং- ১৮৩৭/১০৭।হাত ভেঙে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য অপারেশন প্রয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

এদিকে কামাল হোসেনের শ্বাশুড়ি ফতেমা খাতুন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে গত ১০ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে মিজানুর রহমান ওরফে নিজামকে আসামী করায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- মিজান সাবেক শিল্প মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর কথিত ধর্ম ছেলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে। অবৈধভাবে জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি, কথায় কথায় মারধর, স্থানীয় ও বহিরাগত লোকজন নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সে। আমরা গুরুতর হামলার শিকার হয়েও মিথ্যা মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অন্যদিকে অভিযুক্ত মিজান আমাদের বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ওপর হামলা করে বাড়িঘর দখলের হুমকি সহ পায়তারা চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে উভয় পক্ষ চাইলে স্থানীয় পর্যায়ে সমাধানের জন্য আমরা বসতে পারি। কিন্তু হামলার ঘটনায় প্রশাসনের ব্যবস্হা নেওয়া উচিত।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, কচুবাড়িয়ায় গৃহবধূর হাত ভাঙার ঘটনায় ১০ জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার বিষয়টি যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

সর্বশেষ