১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

পিরোজপুরে সাড়ে ৩ শতাধীক স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতীতে ১৪ লাখ লোক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের সাড়ে তিনশত স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতীতে প্রায় ১৪ লাখ লোক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জেলার ৭টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতী চলছে। এতে জেলার ১৫ স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫৯ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও ২৭৮ জন স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ গ্রহন করেন।
বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন-এর পিরোজপুর জেলা সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচী হিসাবে জেলায় এ কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী অনির্দিষ্ট কালের জন্য এ কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের (স্বাস্থ্য সহকারী) বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষনা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারী ততকালিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। এ ছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারী আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সচীব ও মহাপরিচালক আমাদের দাবি সমূহ মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু সে অনুযায়ী আমারা এখানো কোন সুবিধা পাইনি। আমাদের এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন চাই। তিনি আরো জানান, জেলার প্রায় ১৪ লাখ লোককে আমরা স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে আসছি।
জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশি ইউনিয়নের পত্তাশি গ্রামের মো. জহিরুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্ম বিরতির কারনে আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
জেলার নাজিরপুর উপজেলার হেলথ এসসট্যান্ট এসাসিয়েশনের সভাপতি জয়শ্রী মিস্ত্রী জানান, দেশের সকল মহামারি কালে আমরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। এমনকি দেশে করোনা শুরু হলে নিজেদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির কথা ভুলে গিয়ে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গার্মেন্টস কর্মী, ঢাকা থেকে আসা সহ বিদেশ ফেরতদের তালিকা তৈরী করে হোম কোয়ারেন্টটেইন নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি নিয়মিত ইপিআই কর্মসূচী সহ অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে গেছি।

সর্বশেষ