২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভান্ডারিয়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার বলি স্বামী, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ২

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় উপজেলা ভিটাবাড়ীয় গ্রামে বৈমাত ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রী পরকিয়া হাতে নাতে ধরা পড়ায় স্বামী বেল্লাল সরদার (২৭) নামে এক যুবক বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। সে দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয় গ্রামের জলিল সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত বেল্লালের স্ত্রী সোনিয়া বেগম এবং পরকীয়া প্রেমিক বৈমাতভাই (মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে) রাজুকে গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে জেল হাজতে পাঠায়।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জলিল সরদারের ছেলে বেল্লালের সঙ্গে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে ভান্ডারিয়া পৌর শহরের বাসিন্দা মো. জামালের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে সোনিয়ার সাথে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। সে ঘরে মো. ঈসা নামের ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নিহত বেল্লাল ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাত।

নিহত বেল্লালের চাচী রানী বেগম জানান, সোনিয়ার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে মো. রাজু বৈমাত বোন সোনিয়ার বাড়িতে বেড়াতে এসে সৎ বোনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বেল্লাল ভান্ডারিয়া পৌর শহরের ভুবনেশ্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে চলে যায় এবং প্রায় দেড় বছর বসবাস করে আর্থিক সংকটে পড়ে পুনঃরায় পৈত্রিক বাড়িতে ফিরে আসে।

এদিকে স্ত্রীর এ ধরনের ঘটনা এলাকাবাসির মুখে শোনা ছাড়াও নিজের হাতেনাতে ধরা পড়ায় স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া হয়। ক্ষোভে ঘৃনায় গত ৫ অক্টোবর দুপুরে বেল্লাল বিষ পান করে। পরে তাকে জ্বর, পাতলা পায়খানার রোগী বলে তাকে অচেতন অবস্থায় ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে বেল্লালকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বেল্লাল।

এ ঘটনায় নিহত বেল্লালের বাবা মো. জলিল সরদার বাদি হয়ে পুত্রবধূ সোনিয়া, তার বৈমাত ভাই রাজু এবং শ্বশুর জামালকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের করেন।

ভান্ডারিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মো. বজলুর রহমান এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় ৩০৬ ধরার আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ মামলার আসামী বেল্লালের স্ত্রী সোনিয়া বেগম এবং তার বৈমাতভাই (মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে) রাজুকে গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

সর্বশেষ