পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ আউয়ালের ভাইপো ও কয়েকজন কর্মীদের ওপরে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান খালেক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের অনুসারী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ১৫ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার নামীয় বাকি আসামিরা হলেন–কদমতলা ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম সেখ, মিজান হাওলাদার, আনিস সেখ, হাফিজ সেখ, মনির খান, মো. আরাফাত সেখ, মাহাবুব দরানী, মো. ফারুক, মো. হান্নান সেখ, বেল্লাল হাওলাদার, পিরোজপুর সদরের মো. আলী সেখ, মো. বাচ্চু সেখ, মো. আরিফ ও কচুয়া উপজেলার মো. ইব্রাহিম সেখ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বাদীর বড় ছেলে আহত তানভীর মুজিব অভি ও তাঁর বন্ধু আহত যুবলীগ কর্মী রনি দাস এবং আহত ছাত্রীলগ কর্মী স্মরন চক্রবর্তীসহ, বাদীর বড়ভাই জেলা অওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আউয়ালের কয়েকজন সমর্থক ৭–৮টি মোটরসাইকেলে সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক থেকে ফিরছিলেন। পথে কদমতলা এলাকায় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাদীর ছেলে অভিসহ অন্যদের চারিদিক থেকে ঘেরাও করেন। এ সময় আসামিরা তরিকুল চায়নিজ কুড়াল দিয়ে রনি দাসকে কোপ দেয়। একইভাবে স্মরন চক্রবর্তীকেও হত্যার উদ্যেশ্যে কোপ দেওয়া হয়। এতে দুজন গুরুতর জখম হয়।
গুরতর আহত রনি দাস এবং স্মরন চক্রবর্তীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তানভীর মুজিব অভির হাতসহ শহীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে পিরোজপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান জানান, গতকাল রোববারের ঘটনায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, তানভীর মুজিব অভি পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান খালেক এবং পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপির বড় ছেলে। অভি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।