নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, কোন পুলিশ সদস্যের আচরণে, আমরা যেন খবরের কাগজের শিরোনাম না হই। আমাদের শৃঙ্খলাগুলো বিশ্ব স্বীকৃত, সেগুলো অবশ্যই বজায় রাখতে হবে, শৃঙ্খলার সাথে পেশাদারীত্বকে সবার আগে তুলে ধরতে হবে। প্রতিটি তদন্তে যেন সঠিক চিত্র উঠে আসে, পেশার বাহিরে দুরভিসন্ধিমূলক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কোন অন্যায় চেষ্টা, অনুকম্পা, অগ্রহণযোগ্য কোন আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, আকস্মিক ডোপ টেস্ট চলাকালে কোন পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা পেলে ফৌজদারী আইনে মামলা এবং চাকুরিচ্যুত করা হবে।এ বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে নিখুঁত দৃষ্টি রাখতে হবে। মহামারী করোনা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে নিজেকে সতর্ক রেখে কর্তব্য পালনের পাশাপাশি যে প্রশংসনীয় ভূমিকায় রয়েছি, তা থেকে সরে আসা যাবে না, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিথিলতা চলবে না।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বরিশাল পুলিশ লাইনস্থ ড্রিল সেড সভাকক্ষে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের বক্তব্যতে তিনি পুলিশ অফিসারদের উদ্যেশে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ -পুলিশ কমিশনার সদর-দপ্তর আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্, উপ পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ মোঃ মোকতার হোসেন পিপিএম সেবা, উপ -পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার নগর বিশেষ শাখা জাহাঙ্গীর হোসেন মলিক, উপ-পুলিশ কমিশনার সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিট পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে, কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে আভিযানিক কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে , নির্ভেজাল আইন প্রয়োগ করে অপরাধ দমন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের লিডিং ইউনিট হিসেবে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কল্যাণ সভা শেষে ভালো কাজ এবং বিভিন্ন আভিযানিক কাজের সফলতার জন্য বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং অবসর জনিত বিদায় গ্রহণকারী সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।
মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দপ্তর স্টেট এন্ড পিএমটি) রুনা লায়লা।