২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আগৈলঝাড়ায় বিদ্যুৎপৃষ্টে গৃহবধূর মৃ*ত্যু ভোলার তিন উপজেলায় ভোটের সরঞ্জাম যাচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে নলছিটিতে চোর সন্দেহে গাছে বেঁধে যুবককে পি*টি*য়ে হ*ত্যা মঠবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক নি*হ*ত নিজের উৎপাদিত পেট্রোলে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন বরগুনার আনোয়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোলায় নির্বাচনী ব্রিফিং অনুষ্ঠিত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গলাচিপায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ পটুয়াখালীতে প্রিন্সিপালের নির্যাতনের শিকার সহকারী শিক্ষক

পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই পায়রা নদীতে খুটা-জাল উচ্ছেদ, জেলেদের মানববন্ধন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কাওসার হামিদ, তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলীতে পায়রা নদীতে গত ৫০ বছর যাবত খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছে জেলেরা। তবে কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সেই খুটা-জাল উচ্ছেদ করে দেওয়াতে বিপাকে পড়েছে জেলেরা। এই খুটা-জাল দিয়ে মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলেরা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে বগীরহাট বাজারের পায়রা নদীর পাড়ে জেলেরা মাছ ধরার অনুমতির দাবিতে এ মানববন্ধন করেন কয়েক হাজার জেলে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঐ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫০ বছর যাবত এই পায়রা নদীতে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছেন জেলেরা। তবে কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা মৎস্য অফিস পায়রা নদীতে অভিযান চালিয়ে খুটা-জাল উচ্ছেদ করে দেন। এতে কয়েক শত জেলেদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। জেলেরা আরও বলেন, তালতলী উপজেলার সীমানায় এ অভিযান চালানো হলেও বরগুনা সদর উপজেলার সীমানায় খুটা-জাল দিয়ে ওখানকার জেলেরা মাছ শিকার করছেন। একই নদীতে দুই রকম নিয়ম চলতে পারে না। এটা মনগড়া সিদ্ধান্ত, যা সাধারণ জেলেদের পথে বসাবে। তাই মাননীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ সবার আমাদের দাবি অবিলম্বে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকারের অনুমতি দিতে হবে।

জেলে বাদল গুলুমতাজ বলেন, নদীতে এমন অভিযানে আমাদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। এখন আমাদের পড়নে কাপড় নেই, পেটে ভাত নেই। কিভাবে ছেলেদের লেখাপড়া করাবো সেই চিন্তায় আছি। আমাদের দাবি যাতে পায়রা নদীতে খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে পারি।

আরেক জেলে চুন্নু সিকদার বলেন, আমরা পড়াশুনা করি নাই, এই নদীতে মাছ শিকার করে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে হয়। আমার তিনটা কিস্তি আছে। কোনো সতর্কতা ছাড়াই নদীতে এমন অভিযানে নির্স্ব হয়ে গেছি। আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি কিস্তির জন্য। তিনি আরও বলেন, একই নদীতে দুই নিয়ম কিভাবে হয়। বরগুনা সদরের পাড়ের জেলেরা খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন আমরা কেন বঞ্চিত হতে যাবো। আমাদের দাবিও মানতে হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, খুটা-জাল সম্পূর্ণ অবৈধ। জেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নদী উন্মুক্ত থাকবে। খুটা-জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে পারবে না। এই অবৈধ দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, অবৈধ খুটা-জাল উচ্ছেদ অভিযানে কোনো পূর্ব সর্তকতার দরকার নেই।

সর্বশেষ