১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তিকে গুলি করার ঘটনায় পিস্তলসহ আটক-২

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এম.এ.আর.নয়ন, স্টাফ রিপোর্টার ।। চুয়াডাঙ্গায় পূর্ববিরোধের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে সাচ্চু নামের এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত জখম করা মামলার দুই পলাতক আসামি সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০শে মে) ভোর সাড়ে ৪টার সময় কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন একটি গ্রাম থেকে শাকের আলী নামের এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন জাফরপুর পাওয়ার হাউজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামির চাচাতো ভাই সুমন (২৩) কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি ওই এলাকার মনার ছেলে। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে সুমনের বসত ঘরের খাটের তোষকের নিচ থেকে ১টি ৭.৬৫ এম এম পিস্তল ও ১টি ম্যাগাজিনসহ ৪টি তাজা বুলেট উদ্ধারপূর্বক তা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির উৎস উদঘাটনে পুলিশ নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এর সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

ঘটনার বিবরণে আরও জানা যায়, গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রি. বেলা আনুমানিক সাড়ে ৩টার সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নুরনগরের সুসাহেবের ছেলে দুষ্কৃতিকারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাকের ও শাকের নামের দু’ভাই একই গ্রামের আরেফিনের ছেলে সাচ্চু (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রকাশ্যে গুলি করে গুরুতর জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণের পর এই ঘটনায় আহত ভিকটিম সাচ্চু প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি এখনো অসুস্থ এবং মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ঘটনার পরপরই পুলিশি অভিযানে তাৎক্ষণিক বাকের ১টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার হলেও মূলতঃ ভিকটিমকে যিনি যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছিলো সেই শাকের আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। এতে স্থানীয জনমনে আতঙ্ক ও আশঙ্কা বিরাজ করছিলো। ঘটনার পরপর যেহেতু শাকের আগ্নেয়াস্ত্রসহ পালিয়ে যায় সেহেতু স্থানীয় লোকজন ধারণা করেছিলো পুনরায় হয়তবা বড় কোন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। জনমনে এ ধরনের সৃষ্ট আতঙ্ক রোধকল্পে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সদা জাগ্রত থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে পলাতক আসামি শাকেরকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরবেলা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলামের এর দিক নির্দেশনায় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে এসআই আশিকুল ইসলাম, এসআই হাসানুজ্জামানসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার এবং পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

সর্বশেষ