করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আহ্বান জানানো হচ্ছে ঘরে থাকার। বলা হচ্ছে, এখনো কোন প্রতিষেধক উদ্ভাবিত না হওয়া এই মহামারী ভাইরাসের বড় ওষুধ ঘরে থাকা। তবে এসময় ঘরে থেকে অনেকেই পড়ছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে। তবে এই সমস্যার সমাধান দিচ্ছে ইকমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। অর্ডার করার একদিনের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ ২৫টিরও বেশি জেলার নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপ।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেওয়ার এই কার্যক্রম চালু করে ইভ্যালি।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যাত্রা শুরুর প্রথম দিকে সরবরাহের সময় নিয়ে গ্রাহকদের কিছু অভিযোগ থাকলেও সময়ের সাথে সাথে সেই অভিযোগ তুলনামূলকভাবে খুবই কম। সর্বনিম্ন এক ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য গ্রাহকদের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইভ্যালির এক্সপ্রেস শপে এখন বেশিরভাগ পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ১৩টি এলাকার জন্য দুইটি করে মোট ২৬টি ভার্চুয়াল শপ নিয়ে এক্সপ্রেস শপ চালু করি আমরা। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ ২৫টিরও বেশি জেলায় চালু করা হয়েছে দুই শতাধিক ইভ্যালি এক্সপ্রেস শপ। এদের মধ্যে ঔষধ সরবরাহের জন্য আছে ২২টি ফার্মেসি এক্সপ্রেস শপ। জেলা পর্যায় পেরিয়ে এক্সপ্রেস শপের কার্যক্রম চালু আছে সিটি কর্পরেশন, পৌরসভা এবং উপজেলা পর্যায়েও। এটা আমাদের একটা সিএসআর উদ্যোগের মতো।
তিনি বলেন, ‘গ্রাহক যেন ঘরে বসেই অনলাইনে পণ্য কিনতে আরোও বেশি আগ্রহী হন সে লক্ষ্যেই ক্যাশব্যাক অফার দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সেলারদেরও বোনাস দিচ্ছি যেন তারা কোনভাবেই বাজার মূল্যের থেকে বেশি দাম না রাখেন।’