আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :: স্ত্রী হাওয়া আক্তারের মামলায় আমতলী আইডিয়াল কম্পিউটার টেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ কাওসার আহম্মেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ আমতলী ইউএনও অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিনই তাকে পুলিশ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, ২০১৯ সালের আমতলী আইডিয়াল কম্পিউটার টেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ কাওসার আহম্মেদ পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মোঃ মনিরুজ্জামানের মেয়ে হাওয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে কাওসার স্ত্রী হাওয়াকে যৌতুকের জন্য শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাওয়া আক্তার বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ দিন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জাড়ি করে। এদিকে কাওসার তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামের কাতার প্রবাসী মোঃ রোমেন হাওলাদারের স্ত্রী সোনিয়ার সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করেন। বর্তমানে তিনি প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়াও কাওসারের বিরুদ্ধে বহু নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে। তিনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আড়ালে বিভিন্ন নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এ অভিযোগ প্রশিক্ষণার্থীদের। প্রথম স্ত্রীর হাওয়া আক্তারের মামলা মঙ্গলবার পুলিশ কাওসারকে ইউএনও অফিসের সামনে থেকে গ্রেফতার করে। ওইদিন বিকেলে পুলিশ তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমতলী আইডিয়াল কম্পিউটার টেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ কাওসার আহম্মদ প্রশিক্ষণের আড়ালে অনেক মেয়েদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। লোক লজ্জায় কেউ কিছু বলতে সাহস পাইনি। তারা আরো বলেন, বর্তমান স্ত্রী সোনিয়া ছিল এক প্রবাসীর স্ত্রী। কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আড়ালে কাওসার প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়ার সাথে প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করেন।
প্রথম স্ত্রী হাওয়া আক্তারের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, কাওসার এক খারাপ প্রকৃতির লোক। যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। তাই আমি মামলা করেছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, কাওসারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।