৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনপুরা-চরফ্যাশন নৌরুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, হেনস্তার স্বীকার যাত্রীরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সোহাগ মাহামুদ সৈকত মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি।।

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনপুরা-চরফ্যাশন নৌরুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন লঞ্চ মালিকরা। ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক জরিমানা আদায়ের পর ভাড়া নির্ধারন করে দেয়ার একদিন পরই আইনের তোয়াক্কা না করে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে খারাপ আচরন ও শারিরিক হেনস্তার স্বীকার হচ্ছেন যাত্রীরা। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন আচরনে সাধারন যাত্রী ও সচেতন মহলের মনে প্রশ্ন হচ্ছে- ,লঞ্চ মালিকদের এত ক্ষমতার উৎস কোথায়?’

জানা যায়, গত বুধবার (১৯ মে) মনপুরা- চরফ্যাশন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় তিনি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমান ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের অপরাধে ইজারাদারকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং মাথাপিচু লঞ্চ ভাড়া ৮০ টাকা করে নির্ধারন করে দেন।

কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশনার একদিন না যেতেইে ফের ১২০ টাকা করে ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে খারাপ আচরন, শারিরিক হেনস্তা ও বিভিন্ন প্রকার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও লঞ্চ ঘুরিয়ে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাটে নিয়ে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

ভুক্তভুগি সাধারন যাত্রীরা জানান, চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে মনপুরার জনতা বাজার লঞ্চঘাট পর্যন্ত মাত্র ৪০ মিনিটের পথ। যেখানে লকডাউনে বর্ধিত ভাড়াই ৮০ টাকা ছিলো। সেখানে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জোড়পূর্বক ১২০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। ওদের অত্যাচারে কোন যাত্রী মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরন, বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও শারিরিক হেনস্তা থেকে মুক্তি পেতে ভোলা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ঠি কামনা করছেন ভুক্তভুগী সাধারন যাত্রীরা।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা এই প্রতিবেদককে জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ আকারে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে বিআইডব্লিওটিএ’র বিভাগীর সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জান জানান, এই রুটটি সম্পূর্ণ ডেঞ্জার জোন। ওই রুটে আমাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার লঞ্চ বা ট্রলার চলাচলের নিবন্ধন দেয়া হয়নি।
#

সর্বশেষ