১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রশাসনের নীরব ভূমিকা সড়কের ওপর বাজার, দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
সড়কের ওপর চাল-ডাল বিছিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। ক্রেতারা কিনছেন প্রয়োজনীয় জিনিস। পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে গলাচিপা আসার একমাত্র সড়কের ওপর সাপ্তাহিক বাজার বসায় সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। এ যেন দেখার কেউ নেই।
বাজারটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অফিসগামী শত শত মানুষ। বাজারের সংশ্লিষ্ট দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওই দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হয় বলেও জানা যায়। ২০ বছরেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের পশ্চিম প্রান্তে শেষ সীমানায় বাদুরা নামক স্থানে পটুয়াখালী-হরিদেবপুর সড়কের ওপর বাজার বসে। এ বাজারটি গলাচিপা উপজেলা, পটুয়াখালী সদর উপজেলা এবং বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মিলনস্থল। পুরানো এই বাজারটির সুনাম রয়েছে দক্ষিণ অঞ্চলজুড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেল, সড়কের ওপর মুগডাল, শত শত বস্তা বাদাম, ধান, কবুতরসহ কাঁচাবাজার বেচাকেনা চলে। এতে বাজারের দিন মালামাল পরিবহন এবং ক্রেতা ও বিক্রেতা আসায় শত শত মোটরসাইকেল, বোরাক, টমটম সড়কের ওপর এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। এতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। জেলা সদরগামী গাড়িগুলোকে বাজার পার হতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয় এবং অনেকে যাত্রী বাসের টাকা না নিয়ে হেঁটে গিয়ে অন্যত্র যানবাহনে চলে যায়।
বাদুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, বাজারের দিন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ার কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হয় ছোট শিশুদের। এতে ওই দিন বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী শতকরা ২০ ভাগ উপস্থিত হয়। কালাইকিশোর গ্রামের মুগডাল ব্যবসায়ী আইয়ুব গাজী জানান, সড়কের ওপর সংশ্লিষ্টরা চট নিয়ে বসলেই খাজনা আদায়কারীদের দিতে হয় ২০০ টাকা। এ রূপ চট বসে ১৫০ থেকে ২০০।
বকুলবাড়িয়া ইউনিয়ন কলেজের প্রভাষক জাফর মিয়া জানান, হরিদেবপুর থেকে পটুয়াখালী যেতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগলেও বৃহস্পতিবার ২-৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
বাদুরা বাজার কমিটির সভাপতি মো: শাহ জোমাদ্দার জানান, রাস্তার দুই পাশে ভুসা মাল (চাল, ডাল, বাদাম) কেনাবেচা, সেতুটি সরু হওয়া, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যানবাহনগুলো এলোমেলো করে রাখার জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়। ভূমিদস্যুরা কিছু নকল দলিলের মাধ্যমে খাস জমি দখল করে নিয়েছে। যার কারণে বাধ্য হয়ে ঐতিহ্যবাহী বাজারটি রাস্তার পাশে বসে।
খাস কালেকশন আদায়কারী তহশিলদার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লোক দ্বারা খাজনা আদায় করেন। আমি নিজেই একদিন দুই ঘণ্টা আটকিয়ে ছিলাম। এটা জনদুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এটা রোধ করা সম্ভব।
আমখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির জানান, যাতে জনদুর্ভোগ না হয় সে ব্যাপারে গ্রাম্য পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, খাস জমি বের করে সেখানে সাপ্তাহিক বাজার সরিয়ে নিয়ে জনগণের ভোগান্তি দূর করা হবে।

সর্বশেষ