এম কামরুল হাসান, জেলা প্রতিনিধি:
প্রথমে ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে নিকি উল ফিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ছেলে ইমরানের পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব।এক পর্যাযে তাদের মধ্য্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তারা বিয়ে করার সিদ্বান্ত নেন। পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় প্রেমের টানে উড়াল দিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে গত ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন প্রেমিকা নিকি উল ফিয়া। সেখান থেকে প্রেমিক ইমরান তাকে নিয়ে আসেন বাড়ীতে। গত বুধবার পটুয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আশিকুর রহমানের কাছে এফিডেভিটের কাজ সম্পন্ন করেন তারা। পরে ওই দিন সন্ধ্যা ৭ টায় ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী উভয় পরিবারের সম্মতিতে ১ ইউএস ডলার দেনমোহর ধার্য্য করে তাদের মধ্যে বিয়ের কার্যাদি সম্পন্ন হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে তাদের বৌভাত। এ নিয়ে এলাকায় গত মঙ্গলবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।এমন ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের প্রেমিক ইমরানের বাড়ীতে। ইমরানের বাবা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিকির বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে আত্মস্বজনদের দাওয়াত করেছি। কাজী মাও. মো. সহিদুল ইসলাম ইমরান ও নিকির বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। নিকির উকিল বাবা ছিলেন আমার বাবা মো. সিদ্দিক হাওলাদার।নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার ইউনিয়ানতোর মেয়ে। মায়ের নাম শ্রীআনি।
বর ইমরান হোসেন বলেন, ২০১৬ সালে ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে নিকির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর ২০১৭ সালের ১ডিসেম্বর নিকি প্রেমের টানে প্রথম বারের মত আমার বাড়িতে(বাংলাদেশে) আসে।তখন আমার বয়স ২১ বছর না হওয়ায় নিকিকে বিয়ে করতে পারিনি। তখন নিকি আবার দেশে(ইন্দোনেশিয়া) ফিরে যায়। ফিরে গেলেও আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর এই প্রেম বিয়েতে পরিনত করতে দীর্ঘ ৫ বছর পর নিকি ইন্দোনেশিয়া থেকে গত মঙ্গলবার আবার বাংলাদেশে আমার বাড়ী পটুয়াখালীর বাউফলে আসেন। বর্তমানে আমি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে ¯œাতকোত্তর পাশ করে ঢাকায় একটি বেসকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। আমার বয়স ২৫ বছর ও নিকির বয়স ২৩ বছর হওয়ায় আমার উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। এতে নিকিসহ আমার পরিবারের সবাই আনন্দিত।
![](https://barisalbani.com/wp-content/uploads/2024/06/441-300x200.jpg)