২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফারদিন হত্যার এক মাস পরও কী ঘটেছিল, জানেন না তদন্তকারীরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর খুন হওয়ার এক মাস পরও এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রযুক্তিগত তদন্তে ফারদিনের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে একটি সিদ্ধান্তে এলেও তাঁকে কে বা কারা কেন হত্যা করল, এ সম্পর্কে কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত নেই ডিবির কাছে।তদন্তকারীরা বলছেন, ঘটনার দিন রাত ২টা ০৩ মিনিটে যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরায় ফারদিন চলাচলের দৃশ্য ধরা পড়েছে। ওই সময় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা এলাকাগামী একটি লেগুনায় তিনি ওঠেন। ওই লেগুনার চালক ও সহকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি লেগুনা থেকে বরপায় নেমেছেন। প্রযুক্তিগত তদন্ত এবং প্রথাগত তদন্তে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ওই এলাকাতেই ছিল। তবে তদন্তে সর্বশেষ অবস্থান ছাড়া অগ্রগতি নেই।

ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ আজ সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, প্রযুক্তিগত তদন্তে ফারদিনের সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করার পর কী ঘটেছে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এক মাসেও হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে না পারায় ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন হতাশার কথা জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রহস্য উদ্‌ঘাটিত না হওয়ায় হতাশার কথা জানালেও ফারদিনের বাবা তদন্ত সংস্থার ওপর আস্থা রাখতে চানকাজী নূর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ফারদিনকে যারা খুন করেছে, তারা প্রযুক্তিগতভাবে খুবই দক্ষ। খুনিরা কোনো প্রমাণই রাখেনি। তবে রাত ১০টার পর রামপুরা থেকে খুনিদের নির্দেশিত পথেই ফারদিন চলেছেন। তাঁর চলাচল স্বাধীন ছিল না। খুনিদের চিবুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা ছেলের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার বুশরা পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।হ্নিত করতে সময় লাগলেও তিনি আশাবাদী, এ হত্যার রহস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্‌ঘাটন করবে।মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, বন্ধু বুশরার সঙ্গে রিকশায় করে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ফারদিন রামপুরা সেতু এলাকায় যান। সেখান থেকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় যান ১০টা ৫৩ মিনিটে। এরপর রাত ১১টা ৯ মিনিটে পুরান ঢাকার জনসন রোডে যান। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে ফারদিনের অবস্থান ছিল গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট এলাকায়। পরে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে রাত ১টা ৫৯ মিনিটে আরেক বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তার তথ্য পাওয়া যায়। রাত ২টা ৩ মিনিটে যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় উঠে তারাব হয়ে বরপা যান ফারদিন।

সর্বশেষ