৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ফের ববি শিক্ষার্থীদের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

শামীম আহমেদ :: পূর্ব ঘোষিত তিনদফা দাবি না মানায় ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধে নেমেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৯ ফেব্রয়ারী) বিকেল ৫ টার কিছু সময় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

এরআগে বিকেল ৫ টায় শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বরিশালসহ, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও কুয়াকাটাগামী যাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় পুলিশ রহস্যজনক কারণে এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ প্রশাসন। আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহতরা হামলাকারীদের নামের তালিকা প্রদান করলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। যা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখান করেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন তারা। এদিকে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে বরিশাল সদর সাংসদ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম প্রতিনিধি প্রেরণ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেন তারা। প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আমিন উদ্দিন আহমেদ মোহন, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মাহিদুর রহমান মাহাদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা অমিত হাসান রক্তিম প্রমুখ।

এসময় আমিন উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সারা বাংলাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুণরাবৃত্তি রোধে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা জরুরী। কিন্তু অদ্ভুতভাবে একটি পক্ষ হামলার জড়িতদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে আহতরা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল ৭ টা থেকে পরবর্তী ১০ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন বিকেলে মঙ্গলবারের রাতের হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা, দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা নেয়ার তিনদফা দাবি উত্থাপন করে শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি পূরণে আজ শুক্রবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো তারা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ৭ দিনের সময় চেয়েছিলেন।

সর্বশেষ