১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ববি’তে চাপাক্ষোভ, কঠোর আন্দোলনের শঙ্কা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আ‌মিনুল শাহীন :
প্রমোশনে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার খবরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। একাধীক সূত্রে জানাযায়, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়
পদোন্নতি না পাওয়ায় এবং অর্ধশতাধীকেরও বেশি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে শুধু মাত্র একজন নারী শিক্ষককে সুবিধা দেওয়ার জন্য পদোন্নতি বোর্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন খবরে কঠোর আন্দোলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সাবেক
ভিসি বিরোধী আন্দোলনের পর বর্তমান ভিসি যোগদানে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশাবাদী ছিলেন নতুন প্রশাসন বিগত দিনের
সকল সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হবেন। দ্রুত নিরপেক্ষ পদোন্নতি বোর্ড বসাবেন। বর্তমান ভিসি’র যোগদানের ১বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সূত্রে আরো জানাযায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষক প্রভাষক হতে
সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য তিন বছর সক্রিয় চাকুরিতে থাকতে হবে। কিন্ত অর্র্র্র্ধশতাধীক শিক্ষক তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি ৪/৫ বছর চাকুরিকাল অতিবাহিত করছেন তবুও পদোন্নতি পাননি অনেক শিক্ষক। একই ভাবে কয়েকজন কর্মকর্তাকে যোগ্যতা থাকা সত্যেও পদোন্নতি দেয়ার
বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে সারাদেশের সরকারী এবং বেসরকারী
প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ড আয়োজন করছে সঠিক
সময়। এমন পরিস্থিতিতে একজন নারী শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়ার জন্য
বোর্ড বসানোর খবর ফাঁস হওয়ার পর সকলের ভিতরে উত্তাপ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে
পড়েছে। অনেকের দাবী এমন পরিস্থিতি উদ্ভব হওয়ার পিছনে
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দ¦ায়িত্ব পাওয়া ইংরেজী বিভাগের
চেয়ারম্যান ড: মুহাম্মদ মহসিন উদ্দিন অনেকাংশে দায়ী। তিনি
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং এক মাত্র অধ্যাপক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধিকাংশ কমিটিতেই থাকেন। তিনি কৌশল ব্যবহার করে শিক্ষক,
কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের হয়রানী করে।
সাবেক উপচার্যের সময় গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন
নারী শিক্ষককে ১১ মাস সময়ে প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক বানানোর
জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে নতুন নিয়ম তৈরী করেন তিনি।
অনেকেই মনে করেন একজন নারী শিক্ষককে সুবিধা দিতেই আগামী ৭
সেপ্টেম্বর বোর্ডের আয়োজন।
বিগত দিনে পদোন্নতি বোর্ড ঢাকায় অবস্থিত লিয়াজোঁ অফিসে
হলেও এবারে একটি বিভাগের পদোন্নতি বোর্ড বরিশাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হবে বলে জানাগেছে। নাম প্রকাশে
অনিচ্ছুক একাধীক শিক্ষক বলেন, এমন একটি সংবাদ আমরা শুনেছি।
কিন্তু প্রশাসনের উচ্চ প্রর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ কেন পক্ষপাত মূলক কাজ
করছে এটা আমাদের কোন ভাবেই বোধগম্য নয়, বিষয়টি উদ্বেগজনক
এবং স্পষ্টত প্রমোশন বঞ্চিত সকল শিক্ষকদের সাথে চরম প্রহসন ছাড়া
কিছুই নয়। এমন আচরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষকদের মত
কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও এমন সংবাদে আশাহত হয়েছে।
অনেকেই জানান এই ঘটনা সত্য হলে তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলন গড়ে
তোলা হবে।
এই ব্যাপারে ববি’র রেজিস্ট্রার ও অধ্যাপক ড: মুহাম্মদ মহসিন উদ্দিন
বলেন, ‘ যে নারী শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়ার জন্য আগামী সোমবার (৭
সেপ্টেম্বর) বোর্ড বসবে তিনি সবচেয়ে সিনিয়র। তাছাড়া উনাকে
পদোন্নতি দেয়ার পরে ওই বিভাগের আরো ২জনকে একত্রে পদোন্নতি
দেয়া হবে। কোন প্রকার স্বজন প্রীতি বা পক্ষপাত মূলক আচরণ করা
হচ্ছেনা। ’
এই ব্যাপারে ববি’র ভিসি ড. মো. ছা‌দেকুল আরেফিন (আরেফিন
মা‌তিন) বলেন ‘পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগে কর্মরতদের পদোন্নতি হবে।
আগামী সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর)’র বোর্ড এর পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে পদোন্নতি বোর্ড বসবে।’

সর্বশেষ