১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনার বাজারে তিন দিন জুতা বিক্রি করলেন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় এক জুতার দোকানের মালিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পাথরঘাটা উপজেলা শহরের বাজারে ওই বিক্রেতা গত তিনদিন ধরে ক্রেতাদের কাছে জুতা বিক্রি করেছেন। এর ফলে ওই উপজেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই দোকান মালিকের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির শাহীন। করোনা আক্রান্ত হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার বিষয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পাথরঘাটা উপজেলা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে বরগুনা জেলায় তিনজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দুজন পাথরঘাটার এবং অপরজন বরগুনা সদরের।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। করোনা পজিটিভ আসা পাথরঘাটার দুই রোগীকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর অনেক ব্যবসায়ী ঈদের বেচাকেনা করার উদ্দেশে ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে পাথরঘাটায় ফিরছেন। এমন খবর পেয়ে পাথরঘাটা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার আবেদন করে। বণিক সমিতির নেতারা বলছেন, ওই ব্যবসায়ীদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত না করায় এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।

পাথরঘাটা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কর্মকার জানান, করোনার মধ্যে ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেকেই প্রকাশ্যে দোকানে বেচাকেনা করেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এদের মধ্যে সংক্রমিত জুতার দোকানের মালিকের নামও ছিল। যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েও দোকানদারি করেছেন।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, বণিক সমিতির মাধ্যমে ৯ জনের একটি তালিকা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হাতে পেয়েছিলাম। এদের সবার কাছে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিন মানতে বলা হয়। কিন্তু তারা কোয়ারেন্টিন না মেনে যে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন কিনা এ বিষয়ে বণিক সমিতি আমাদের কিছু জানায়নি।

সর্বশেষ