২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনায় জাল দলিল তৈরি করায় শিক্ষক কারাগারে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলীতে জাল দলিল তৈরি করার অপরাধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আমতলী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত।

জানা গেছে- আমতলী উপজেলার চরখালী গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদার (সহকারী শিক্ষক, ৪নং উত্তর চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাপাড়ায় বর্তমানে কর্মরত আছেন)। তার গ্রামের বাড়ি আমতলী উপজেলার চরখালী গ্রামে। তিনি তার আপন ভাতিজা মোঃ গোলাম মোস্তফাকে তার ভোগদখলীয় জমি থেকে উৎখাত করার জন্য বিগত ১৬/১১/২০১৬ ইং তারিখে এস.আর অফিস, আমতলী দেখিয়ে দাতা- যথাক্রমে মানিক গাজী ও মজিদ গাজী দেখিয়ে গ্রহিতা তিনি নিজে সেজে ১৫ (পনের) শতাংশ জমির একখানা জাল দলিল তৈরি করেন। উল্লেখ্য দলিল নং- ৭২৬ ঠিক রেখে এবং রেজিঃ তারিখ ঠিক রেখে জমির পরিমার ৩০ (ত্রিশ) শতাংশ এর স্থলে ১৫ (পনের) শতাংশ লিখে জাল দলিল তৈরি করেন। গোলাম মোস্তফাকে ১৫ (পনের) শতাংশ জমি তিনি মালিকানা দাবী করে মেপে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তার ভাতিজা জমির অনুক‚লে কাগজপত্র চাইলে তিনি জমি দলিলের ফটোকপি ও রেকর্ডের ফটোকপি প্রদান করেন। গোলাম মোস্তফা উক্ত জাল দলিল ও জাল দলিল ব্যবহার করে যে রেকর্ড করা হয় তার বিরুদ্ধে চাচা আলী হোসেন হাওলাদারকে বিবাদী করে আমতলী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৩/০৬/২০২১ ইং তারিখে বরগুনা সি.আই.ডি-তে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য প্রেরণ করেন। সি.আই.ডি ইনস্পেক্টর মোঃ মিজানুর রহমান তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালত আবুল হোসেন হাওলাদারের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। শিক্ষক আবুল হোসেন ১৯ জুলাই আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আলী হোসেন এর স্ত্রী, সন্তানরা গোলাম মোস্তফাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। জোড় করে জমি ভোগ দখল করবে বলেও হুমকি দিয়ে আসছে। গোলাম মোস্তফা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

সর্বশেষ