অনলাইন ডেস্ক ::: গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বরগুনার ১৮ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রসহ চার জলদস্যুকে আটক করেছে র্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৭)। ওই ডাকাতির ঘটনায় জলদস্যুদের হামলায় একজন নিহত এবং ৯ জেলে আত্মরক্ষার্থে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়। এদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ পাঁচ জেলে।
আটকের সময় র্যাব সদস্যরা তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বোটটি জব্দ করে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নিয়ে আজ দুপুরে চট্টগ্রামের চান্দগাঁওস্থ র্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মাহবুব আলম।
র্যাব জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলা মৎস্যজীবীর ১৮ জন জেলে একটি ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে ঐদিন রাতে পাথরঘাটা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ২৫-৩০ জনের একটি নৌদস্যুবাহী দ্রুতগামী ট্রলার উক্ত জেলেদের ট্রলারের পিছনে ধাক্কা দেয় ও ফাঁকা গুলি করে। তখন ট্রলারে থাকা জেলেরা চিৎকার করলে জলদস্যুরা ট্রলারে উঠে ১৮ জন জেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
জলদস্যুদের কবল থেকে বাঁচতে ৯ জন জেলে গভীর সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হন। অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা জলদস্যুদের হামলায় আহত ৯ জন জেলেকে উদ্ধার করে শনিবার সন্ধ্যায় পাথরঘাটায় নিয়ে আসে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজন কে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
নিখোঁজ ৯ জেলের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও পাঁচজন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
জলদস্যুদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মাহবুব আলম জানান, জলদস্যুরা বাঁশখালি এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে যৌথ অভিযানে নামে র্যাব-৭ ও র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা। বাঁশখালীর গন্ডামারা, বড়ঘোনাসহ একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে জলদস্যু দলের ৪জনকে আটক করা হয় এবং দলের অন্য সদস্যদের আটকের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।