অনলাইন ডেস্ক :: ছুটিতে এসে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা পৌরসভার মেয়রকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের শাহজালাল, তার বাবা শফিকুল ইসলাম শানু ও মাতা হালিমা বেগম। শাহজালাল সেনাবাহিনীতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আর্মস ডিভিশনে কর্মরত।
জানা যায়, একই উপজেলার লাকুরতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক জালাল আহমেদের মেয়ে জান্নাতুল আরফা জেপিকে শাহজালালের সঙ্গে ২০১৫ সালে বিয়ে দেয়া হয়। তাদের একটি ছয় বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। শাহজালাল একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য জেপির কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করে আসছে।
শাহজালাল ২৯ আগস্ট ছুটিতে বাড়ি এসে তার স্ত্রীর কাছে আবারো দুই লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে নির্যাতন শুরু করে। ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় শাহজালাল ও তার মা-বাবা আবারো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। জেপি যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে শাহজালাল ও তার মা-বাবা একত্রিত হয়ে জেপিকে মারধর করেন।
জেপি বলেন, আমার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি দুই লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আমাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। আমি বাবাকে ফোন করলে আমাকে উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। পর দিন বরগুনা থানায় আমি মামলা করতে গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
জেপির অভিযোগ, আমি যখন ঢাকায় ছিলাম তখনো শাহজালাল যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করত। শাহজালালের অত্যাচারে আমার সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত। কাউকে দেখাতে পারছি না।
শাহজালাল বলেন, আমি দাদির মৃত্যুতে ছুটিতে বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি। জেপি থাকে তার বাবার বাড়িতে। আমি কোনো যৌতুক দাবি করিনি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নিতাম।