বরগুনা প্রতিনিধি ::: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বরগুনায় দুটি উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টা থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোঃ আবদুল হাই আল হাদী প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন। প্রতীক পেয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেন সদর উপজেলার চার জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
নির্বাচনীয় আচরণবিধি অনুযায়ী কোন প্রকার মিছিল, শোডাউন দেয়া যাবেনা রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষণার পরেও প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা বের হয়ে নির্বাচন অফিসের সামনে মিছিল দেন। মিছিলগুলো বরগুনা পৌর শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণও করে। আচরণ বিধি লংঘন করে মিছিল দেয়া চার চেয়ারম্যান প্রার্থী। তারা হলেন, ‘আনারস’ প্রতীকের মনিরুল ইসলাম , ‘মোটর সাইকেল’ প্রতীকের শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহ , ‘দোয়াত কলম’ প্রতীকের অ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হালিম ও ‘ঘোড়া’ প্রতীকের মোঃ এনামুল হক শাহীন।
মিছিল দিয়ে আচরণ বিধি লংঘন করায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ দেখা দিয়েছে। এতে অন্য পদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আরো কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ দুপুর ২ টা থেকে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। আগামী ২১মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫জন , ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন অংশগ্রহণ করেছেন। বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আচরণ বিধি ভঙ্গের বিষয়ে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মাদ আবদুল হালিম বলেন, আমার সমার্থকরা নির্বাচনীয় বিধি না জেনে মিছিল দেয়া শুরু করেছিল। পরবর্তীতে আমি এসে মিছিল বন্ধ করে দিয়েছি।
এব্যাপারে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরান হোসেন (রাসেল) বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই অন্য প্রার্থীদের মত নির্বাচন অফিস থেকে নেমে মিছিল শোডাউন করিনি। তবে আমি নির্বাচনীয় পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত। কারন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধুরা নির্বাচন অফিসের সামনেই মিছিল দিয়ে আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আমার অনুরোধ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য নির্বাচনীয় আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করবেন।
বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই আল হাদী বলেন, আজ দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা নির্বাচনীয় বিধি ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।