১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনায় স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে মাটিচাপা, প্রধান আসামি শাহিন গ্রেপ্তার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক :: বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার হাতেমপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর মা-মেয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

মুক্তা ধর বলেন, গত ৩ জুলাই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর এলাকায় একটি বাড়ির আঙিনায় মাটি চাপা অবস্থায় সুমাইয়া আক্তার ও তার ৯ মাস বয়সের মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার স্বামী শাহিনকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা। সিআইডির একটি বিশেষ দল ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার চট্টগ্রাম থেকে সুমাইয়ার স্বামী শাহিন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডির পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শাহিন মুন্সি হত্যার সত্যতা স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, ৩০ জুন সুমাইয়া তার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। পরে ২ জুলাই সুমাইয়ার ছোট বোন শ্বশুরবাড়িতে সুমাইয়ার খোঁজ করতে গেলে তারা (শ্বশুরবাড়ি সদস্য) জানায়, দুইদিন ধরে সুমাইয়া বাড়ি আসেনি। পরে অনেক খোঁজখবর নেয়ার পর ৩ জুলাই বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা অবস্থায় মা-মেয়ের মরদেহ পাওয়া যায়।

মুক্তা ধর বলেন, সুমাইয়ার সঙ্গে স্বামী শাহিনের কথা কাটাকাটি হলে বাড়ির পেছনে বড়শির লাইলন সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীকে সে হত্যা করে। এসময় শিশু মেয়েটি কান্নাকাটি করায় তাকে বাড়ির পাশের একটি খালে ডুবিয়ে হত্যা করে শাহিন। পরে কোদাল দিয়ে মাটি খুড়ে তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় শাহিন।

সিআইডি জানায়, এর আগে ২০২০ সালের ১৪ জুলাই সুমাইয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিন মুন্সির বিরুদ্ধে মামলা করেন সুমাইয়া। এতে শাহিন ৩ মাস জেলও খাটে। পরে সুমাইয়াকে বিয়ের শর্তে তার জামিন হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সুমাইয়াকে বিয়ে করলেও তাদের দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো।

সর্বশেষ