বরগুনা প্রতিনিধি ::: শিক্ষক সংকটে বরগুনার দুটি সরকারি বিদ্যালয়। অর্ধেকের বেশি পদ শূন্য। নিয়োগের বিষয়ে জানে না প্রধান শিক্ষকরা।
বরগুনা জেলা শহরের একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। যেখানে পড়াশোনা করেন হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়ে ৫২ শিক্ষকের পদ রয়েছে। অথচ তার বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ২০ জন শিক্ষক।
বরগুনা জিলা স্কুলেও চরম শিক্ষক সংকট। ৫২টি পদের বিপরীতে রয়েছেন ২২ শিক্ষক। ফলে নানা অসুবিধার সাথে সাথে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
তারা বলেন, আমরা ছোটবেলায় দেখেছি, স্কুলে সকালে এসেই পিটি করানো হয়, এখানে এগুলো কিছুই হয় না। এছাড়া শিক্ষকদের দৈনিক বিরতিহীনভাবে ৫ থেকে ৬টি ক্লাস নেওয়া লাগে তবে শেষের ক্লাসগুলো তারা ভালো করে নিতে পারে না। এটাই স্বাভাবিক।
সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, সব শিক্ষক যে নিয়মিত ক্লাস নেয় সেটাও না। তারা অনেকেই আছে যারা ক্লাস নেয়ার থেকে প্রাইভেট পড়ানোতে ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা দিন দিন প্রাইভেট নির্ভর হয়ে পড়েছে।
তীব্র জনবল সংকটের কথা স্বীকার করলেন বিদ্যালয় দুটির প্রধান শিক্ষক। বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম বলেন, ইংরেজি-বিজ্ঞান-গণিত সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোরই শিক্ষক নেই আমাদের।
আর বরগুনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদৎ হোসেন বলেন, আগে শিক্ষকের সংখ্যা আরও কম ছিলো। গতবছর কিছু শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের উপর খুব চাপ পরে তারপরেও, আমার মনে হয়না যে এখন একটা ক্লাসও বাকি যায়, সব ক্লাসই হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, শূন্যপদে শিক্ষক চেয়ে এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই আমরা কিছু শিক্ষক পাব।
বিদ্যালয়গুলোতে গুণগত শিক্ষার কথা ভেবে, দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দাবি স্থানীয়দের।