নিজস্ব প্রতিবেদক ::: প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার দিনেই বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের সাত জন আহত হয়েছেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় আহতরা একে-অপরকে দায়ী করেছেন।
সোমবার রাত ৯টার দিকে নগরীর পলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী মো. রাব্বি, আমিন, আসিফ এবং জাহিদ ফারুকের সমর্থক হালিম, রবিউল, মেহেদী ও রফিকুল। তাদের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আসিফ ও আমিন জানিয়েছেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে নৌকার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। পলাশপুর এলাকায় মিছিল থেকে সাদিক আব্দুল্লাহর সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তারা তিন জন আহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল ও মেহেদী জানান, নৌকার মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় সাদিক আব্দুল্লাহর সমর্থকরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। তাদের হামলায় ছয় জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত চার জনকে শের-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেলেন। এ ঘটনার পর পলাশপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার সরোয়ার হোসেন বলেন, নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের সাত জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হাইকোর্টে রিট করে সোমবার প্রার্থিতা ফিরে পান বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব ও হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন জাহিদ ফারুক। আবার জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেন সাদিক। শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন জাহিদ ফারুকের আপিল মঞ্জুর করে। সাদিক আব্দুল্লাহর আপিল নামঞ্জুর করে সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। ফলে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাদিক হাইকোর্টে রিট করে সোমবার প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। পরে আজ সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন না।