২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালের রহস্যঘেরা বেঁদে পল্লীর লোমহর্ষক কাহিনী !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী:  বরিশাল জেলার গৌরনদীর ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দর লাগোয়া পালরদী নদীর তীর ঘেষে গরে উঠেছে গেীরনদী বেঁদে পল্লী। এই পল্লীতে ৮২টি বেঁদে পরিবারের স্থায়ী বসবাস। এদের অনেকেই জড়িয়ে পরছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। মাদক সেবন মাদক ব্যবসাসহ সমগ্র দেশেই তাদের অপরাধ কর্মকান্ডের শক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই পল্লীর আট বেঁদে সাপের খেলা ও ঝাড়ফুকের পেশার আড়ালে প্রতারনা করে অবৈধ আয়ে গরে তুলেছেন দামি বাড়ি করছেন আয়েশি জীবন যাপন।
এদের বিরুদ্ধে মাদকবিক্রিসহ বিভিন্ন অপকমের্র অপরাধে গৌরনদী মডেল থানা,মাদারীপুর সদর থানা,ভোলা সদর থানা,মুন্সিগঞ্জ ও বিক্রমপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ২৬ টি মামলার তথ্য সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছেছে।সংশ্লিষ্টদের ও স্থানীয় বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানাযায় তাদের সাথে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে ।
এরা তিন চার বছর আগেও মানবেতর জীবন যাপন করেছে। হঠাৎ করে তাদের সন্ধেহাতীত পরিবর্তনে হতবাক করেছে এলাকার সচেতন মহলকে। এদের বিরুদ্ধে মূখ খোলার নুন্যতম সাহস নেই পল্লীর কারো। কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। স্থায়ী বেঁদে পল্লীটি কিছুটা রিমোর্ট এলাকা হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সাথে তাদের উঠাবসা কম। এ জন্যই তাদের বিভিন্ন অপকর্ম থেকে যায় সবার চোখের আড়ালে।
জুয়ার আসর, ও জীনের বাদশা,তান্ত্রীক মা সেজে প্রতারনা,মাদক ব্যবসাসহ মলম পার্টি,অজ্ঞান পার্টিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে। সমগ্র দেশে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত পল্লীর হারুন সরদার,স্বপন সরদার,পিন্টু সরদার,বাদল সরদার,রানা সরদার,ইমরান সরদার,মকাই সরদার,লিটন সরদার ও তাদের চক্রের সহযোগীরা। উল্লেখিত চক্রের এই সদস্যরা সবাই নিকট আত্মীয়। এ পল্লীতে একই কাজের সাথে নারীসহ কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা শোনা গেলেও তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত যানাযায়নি। তাদের এ অনৈতিক অপকর্ম শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়। গ্রামীন জনপদেও তাদের শক্ত সিন্ডিকেট কাজ করে। এর মধ্যে হারুন সরদার এলাকায় মামলাবাজ হারুন নামেও পরিচিত। সামান্য বিষয় নিয়ে পরিবারের নারী সদস্যদের দিয়ে মামলা করে অনেক মানুষকে হয়রানি করে আসছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী জানান তারা খুব সংঘবদ্ধ। তাদের পৃষ্টপোষক ছাড়া অন্য কারো সাথে বেশী উঠাবসা করে না। আমরা মনে করেছি এদের পরিবারের লোজজন হয়ত ইউরোপের কোন দেশে থাকেন। কারন তাদের বিলাসি জীবনযাপন সংক্ষুদ্ধ করেছে এলাকার সচেতন মহলকে। তারা নিজেদের নাম পর্যন্ত লিখতে পারে না অথচ তাদেও চলাফেরার বিলাসিতা শিল্পপতিদেরও হাড় মানায়।
তাদের এই হঠাৎ পরিবর্তনে বিস্মিত আতঙ্কিত পল্লীর অন্য বাসিন্দারাও। তাদের দাবী ঝাড়ফুক,সাপের খেলা আর তাবিজ কবজ বিক্রি করে এমন পরিবর্তন অবিশ্বাস্য। তারা যেদিন এ সব অপকর্মের কারনে আইনের আওতায় যাবে। সেদিন সকল বেঁদে এর কুফল ভোগ করতে হবে। এমন শঙ্কায় তারা শঙ্কিত হলেও প্রকাশ্যে এদের বিরুদ্ধে কেহ মূখ খুলতে বিন্দুমাত্র সাহস দেখায় না। দু এক কথা মূখ ফসকে বের হলেও তাদের উপর চলে মানসিক নির্যাতন এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি।

হারুন সরদার,স্বপন সরদার,পিন্টু সরদার,বাদল সরদার,রানা সরদার,ইমরান সরদার,মকাই সরদার,লিটন সরদার ও তাদের চক্রের সহযোগীরা। মলম পার্টি,অজ্ঞান পার্টি,মাদক ব্যবসা,জুয়া,জীনের বাদশা,নারী সদস্য দিয়ে তান্ত্রিক মা সাজাসহ বিভিন্ন অপকর্মের আন্তজেলা চক্রের সদস্য তারা।
পল্লীর বয়বৃদ্ধ কয়েকজন বাসিন্ধা নাম প্রকাশ না করার শর্থে আক্ষেপ করে বলেন,তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না। তাদের বাড়িতে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীরা আসেন। এ ছাড়াও অপরিচিত সন্ধেহভাজন অনেক লোক তাদের বাড়িতে প্রায়ই আসা যাওয়া করে। তারা নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারে না তা ছাড়া ঝাড়ফুক,সাপের খেলা আর তাবিজ কবজ বিক্রি করে এমন পরিবর্তন অবিশ্বাস্য। প্রসাশন এদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবশ্যই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
পল্লীর একজন নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,এরা টাকার বিনিময় সব অপকর্ম থেকে পার পেয়ে যায়। আমরাও প্রতিবাদ করতে পারছি না। এদের কারনে অনেক সমস্যা হচ্ছে,গ্রামে গেলে মানুষ আমাদের মনে করে অজ্ঞান পার্টির লোক। এদের একেকজন এর ১৫ থেকে ২০টি করে মোবাইল সিম ব্যবহার করে।
বেঁদে পল্লীর সরদার নাসির জানান,একই পল্লীতে আমরা আলাদা বসবাস করি তাদের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
বেঁদে পল্লীর কথিত সরদার স্বপনের সাথে মুঠফোনে একাধীকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করলেও সে ফোন রিসিপ করেননি।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক মোঃ আফজাল হোসেন বলেন বিষয়টি গুরত্বপূর্ন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেলের) আঃ রব হাওলাদার বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ