১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে কিশোরীকে অপহরণ ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি, গ্রেপ্তার ৩

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

শামীম আহমেদ :: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ ও পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করার ঘটনায় পাচারচক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল র‌্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল। এরআগে পটুয়াখালী সদর থানাধীন এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৮ সদর কোম্পানী এবং সিপিসি-০১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পাচারচক্রের মূলহোতা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জলিশা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ইমন হোসেন (২০) ও তার দুই সহযোগী শরীয়তপুরের পালং থানাধীন চরপাতালীধী গ্রামের আনিচ আলীর মেয়ে তানিয়া (২৬) ও মাদারীপুর সদর থানাধীন পুরান বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর বেপারীর মেয়ে জাহানারা বেগম (২৭)।

র‌্যাব জানায়, গত ১১ মার্চ ভিকটিম ১৫ বছরের কিশোরীকে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন বাকেরগঞ্জ মহিলা মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিঁখোজ হয়। যে ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাকেরগঞ্জ থানায় ১২ মার্চ একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যে ঘটনায় তদন্তে নেমে থানা পুলিশ জানতে পারে ভিকটিম পটুয়াখালী সদর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় পুলিশ র‌্যাব -৮ বরিশাল বরাবর একটি অধিযাচন পত্র প্রেরণ করেন।এমতাবস্থায় র‌্যাব-৮ সদর কোম্পানী এবং সিপিসি-০১ পটুয়াখালী ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে ভিকটিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মানব পাচার চক্রের মূলহোতাসহ ইমন ও তার সহযোগী তানিয়া ও জাহানারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারের পর মো. ইমন হোসেন জানায়, অপর সহযোগীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও প্ররাচনায় সে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ মার্চ বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ভরপাশা টিএন্ডটি রোড মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সামনে থেকে জোরপূর্বক মানব পাচারের উদেশ্যে অপহরণ করে। পরে সে ভিকটিমকে গ্রেপ্তার তানিয়া ও জাহানারা বেগমের নিকট ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে পতিতা বৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করে দেয়। তবে রমজান মাসে পতিতাবৃত্তি বন্ধ থাকায় ভিকটিমকে নানাভাবে পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ ও প্ররোচনা দিয়ে আসছিলো গ্রেপ্তারকৃতরা।

এ ঘটনায় বাকেগঞ্জ থানার তদন্তকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‘মানাব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলা দায়ের করেছেন। যে মামলার উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

সর্বশেষ