নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে মারণঘাতী করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনা সংক্রামণ রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু বরিশালের গণপরিবহনে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। আগের মতোই চলছে বরিশালের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস ও লঞ্চে যাত্রী পরিবহন। যদিও কিছু পরিবহনে বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। এতে করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা যাত্রীদের। তবে শীঘ্রই ডাবল সিটে একজন যাত্রী পরিবহন ও বর্ধিত ভাড়া কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
বিশেষ করে বরিশালে করোনা সংক্রামণ বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। গত ২৪ ঘন্টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৭ জনের। শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ। এরআগের ২৪ ঘন্টায় ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৩৭ জনের। শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে বুধবার ভর্তি হওয়া ৯৩ জনের মধ্যে ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার ভর্তি হওয়া ৮৭ জনের মধ্যে ২৫ জন ও সোমবার ৫৪ জনের মধ্যে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় গণপরিবহনের এক সিট ফাকা রেখে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনা দিয়েছে ভাড়া বাড়ানোর। কিন্তু বরিশাল নগরীর দুটি বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লা এবং অভ্যন্তরীণ রুটের বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। পাশাপাশি সিটে আবার কখনও গাদাগাদি করে দাড়ানো যাত্রী নেয়া হচ্ছে বাসে।
মাস্ক পড়ায়ও অনীহা রয়েছে অনেক যাত্রীর। লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে পুরোপুরি। সব কিছুই চলছে আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে। এতে করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন যাত্রীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের দাবি জানিয়েছেন।
পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি, যাত্রী কম হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি তেমন লঙ্ঘিত হচ্ছে না। তবে সরকারের নির্দেশনা কার্যকরের চেষ্টা চলছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার জানান, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে তারা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবহন কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’