নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে সকাল থেকে দমকা বাতাস, মাঝে মাঝেই বৃষ্টি চলছে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদ-নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। বরিশাল অঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। প্লাবিত হয়েছে ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশালের নিম্নাঞ্চল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বরগুনা ও পাথরঘাটায় বিশখালীসহ পটুয়াখালীর পায়রা, পিরোজপুরের কচা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলায় তেতুলিয়া নদী ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে, বিপৎসীমার ২০ পয়েন্ট, মেঘনা নদীর দৌলতখানে বিপৎসীমার ৩৯ পয়েন্ট, বরগুণার বিষখালী নদী বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। কিন্তু এর মধ্যেই নগরীর একটি অংশ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে ঐসব এলাকার কয়েক হাজার হাজার মানুষ। বরিশাল নগরসহ বেশি কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলেও গুমোট আবহাওয়া রয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী এ আই জাবেদ বলেন, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি এখনো। তবে পূর্ণিমার জো থাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে বরিশালের নিম্নাঞ্চলে নদীর পানি প্রবেশ করতে পারে। এদিকে শুধু পলাশপুরই নয় নগরীর রসূলপুর, জিয়ানগর, সাগরদি, সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ও তালতলী এলাকায়ও কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবেশ করেছে।
অপরদিকে বৈরী আবহাওয়া ও নদী বন্দরে দুই নম্বর সংকেত থাকায় বরিশাল থেকে সকল রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে থাকবে বলে জানান বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।