২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে ছিনতাইয়ের নাটক করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন মোবাইল ব্যাংকিং কর্মকর্তা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক :: বরিশালে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে থানায় মামলা করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন কর্মকর্তা নুরুল্লাহ মোমেন। রোববার দিবাগত রাতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ছিনতাই মামলা দায়ের করতে গেলে তাকে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

এরপর নুরুল্লাহকে নিয়ে অভিযান শেষে পুলিশ ছিনতাইয়ের প্রমাণ না পাওয়ায় সোমবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ঘটনায় মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির বরিশাল অফিসের ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেফতার নুরুল্লাহ মোমেন নগরীর কলেজ অ্যাভিনিউ এলাকার বাসিন্দা।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির কর্মকর্তা গ্রেফতার নুরুল্লাহ মোমেন রোববার দিবাগত রাতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করতে আসেন। এ সময় তিনি জানান কোম্পানির টাকা সংগ্রহ শেষে মোটরসাইকেলযোগে সিএ্যান্ডবি রোডের অফিসের যাওয়ার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বৈদ্যপাড়ায় অবস্থানকালে তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন।

এ সময় কুপিয়ে ও মারধর করে নগদ আট লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তিন সদস্যের একটি ছিনতাইকারী দল। অভিযোগে নুরুল্লাহকে কুপিয়ে জখমের কথা বললেও তার হাতে একটি আঁচড় দেখতে পান বলে জানান ওসি নুরুল ইসলাম। এতে সন্দেহ হওয়ায় ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। ফুটেজে নুরুল্লাহকে দেখতে না পাওয়ায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেন।

ওসি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নুরুল্লাহ জানান তাকে কেউ কুপিয়ে জখম করেনি। নিজেই ব্লেড দিয়ে হাত কেটে থানায় গিয়েছিলেন মামলা করতে। এরপর রাত সাড়ে ৪টার দিকে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে একটি ব্লেড ও টাকার বহনের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে নুরুল্লাহ প্রথমে আট লাখ টাকার ছিনতাইয়ের কথা বললেও ঋণগ্রস্ত থাকায় এক লাখ ৭৬ হাজার টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আরও টাকা আত্মসাতের সুযোগ রেখে তিনি আট লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে প্রচার করেন।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নগদ বরিশালের ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় নুরুল্লাহকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানান ওসি নুরুল ইসলাম।

সর্বশেষ