২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাকুরী বাঁচাতে পায়ে হেটে বরিশাল থেকে ঢাকার পথে হাজার হাজার শ্রমিক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আরিফ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: পোশাক শ্রমিকদের মোবাইলে ক্ষুধে বার্তায় ১ আগষ্ট কারখানায় উপস্থিত থাকার বার্তা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে যে যেভাবে পারছে, চাকরি বাঁচাতে ছুটছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের পথে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। কঠোর লকডাউনের কারণে যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করায় মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরণের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহি যানবাহনে নানা কৌশলে যাত্রীরা গন্তব্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকে তো কোনো ধরণের যানবাহন না পেয়ে, পায়ে হেটেই সামনের দিকে এগিয়েও যাচ্ছেন।

নৌ-পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে লকডাউনে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকা বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস টার্মিনাল এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

তবে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন না থাকায় রাজধানী পর্যন্ত এত দূরের পথ কিভাবে তারা পৌঁছাবে, এ নিয়ে খুব্ধ হয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে চলাচালরত পণ্যবাহি ট্রাকের পথরোধও করেন তারা।

খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল স্বাভাবিক করে।

তবে তারপরও যে যেভাবে পারছেন, ঢাকার উদ্দেশ্যে এগুচ্ছেন। পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে চেপে তারা ঢাকার দিকে যাচ্ছেন।

এসময় পোশাক শ্রমিকরা জানান, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ১ আগস্ট উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি আর লকডাউন উপেক্ষা করে তাদের রাজধানীমুখী হতে হচ্ছে।

নথুল্লাবদ বাস র্টামিনালে আসা বাচ্চু নামে এক পোশাক শ্রমিক জানান, বাসসহ কোনো গণপরিবহন না থাকায় দ্বিগুণ খরচে ভোলা থেকে বরিশালে এসেছেন। এখন এখানে এসে কোনো যানবাহন না পেয়ে দারুণ বিপাকে পড়েছেন। পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি সুরাহা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।

উল্লেখ্য বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার অসংখ্য শ্রমিক রাজধানীর বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদুল আজহার সময় ৮ দিন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায়, পোশাক শ্রমিকরা ওই সময়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেই পোশাক শ্রমিকরাই পড়েছেন এখন বিপাকে।

এদিকে নথুল্লাবাদসহ নিজেদের আওতাধীন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপ্লব বড়ুয়া।

সর্বশেষ