১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে ট্র্যাফিক পুলিশের সার্জেন্টের স্ত্রীকে কিল-ঘুষি-লাথি, গ্রেপ্তার ১

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের এক সার্জেন্টের স্ত্রী কটূক্তির প্রতিবাদ করায় বখাটে কিশোরদের হামলার শিকার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘুরতে গেলে রাত ৮টার দিকে হামলার শিকার হন সিফাত জাহান মীম নামের ওই নারী।

তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ টুটুলের স্ত্রী।

ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সিফাত জাহান।

এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৬ বছরের ওই কিশোর নগরীর কেডিসি আব্দুর রাজ্জাক কলোনির বাসিন্দা।

হামলার শিকার মীম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বড়বোন, তাদের ছেলে-মেয়ে এবং কয়েকজন বান্ধবীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে একটি পোষা বিড়ালও ছিল। রাত ৮টার দিকে তারা উদ্যানের হেলিপ্যাড এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরে ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর হেলিপ্যাডে এসে একটি কেক কাটে। কেক কাটা শেষে তারা মাদক সেবন করছিল। কিছুক্ষণ পরে একটি ছেলে তাদের কাছে গিয়ে বিড়ালটিকেও মাদক সেবন করাতে উদ্যত হয়। এমন আচরণ দেখে তারা সেখান থেকে চলে আসার সময় কিশোররা অশালীন অঙ্গভঙ্গি ও কটূক্তি করে।

এর প্রতিবাদ করায় মীমকে লাথি, কিল-ঘুষি দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয় এক কিশোর। তখন অন্য দর্শনার্থীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।

মীম আরও বলেন, কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জায়নাল আবেদীনের ছেলে পরিচয় দিয়ে আশরাফুল হক নামে আরেক কিশোর দলবল নিয়ে দ্বিতীয়বার তাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়।

মহানগর ট্র্যাফিক পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, স্ত্রীর ওপর হামলার খবর পেয়ে সার্জেন্ট টুটুল ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করেছেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, হামলার শিকার সিফাত জাহান মীম বাদী হয়ে আশরাফুল হকসহ পাঁচজনের নামোল্লেখ করে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় রাতেই লিখিত এজাহার দিয়েছেন। আটক কিশোরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফলজুল করীম বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করে সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জায়নাল আবেদীন তার ছেলে হামলায় জড়িত ছিল না দাবি করে বলেন, আশরাফুল দুই পক্ষের মারামারি ছাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় আমার ছেলেকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ