১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৭৩ রোগী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::::বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গোটা বিভাগে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আরও ২৭৩ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে গোটা বিভাগের ছয় জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৯১৪ ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জিয়াউল হক নামের ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৭৩ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে সব থেকে বেশি ৬৫ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ২১ জন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ দুই হাসপাতালে ৩২৪ ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বরিশালের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে ২৯ জন, পটুয়াখালীতে ২৮ জন, ভোলায় ৫৪ জন, পিরোজপুরে ৫১ জন, বরগুনায় ২১ জন ও ঝালকাঠিতে ৪ জন ডেঙ্গুরোগী গেল ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ছয় হাজার ৬৬০ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ হাজার ৭৩৩ জন। এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে ১৩ ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয়জন, বরগুনা হাসপাতালে একজন এবং ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না।

তিনি বলেন, বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গুরোগীদের গুরুত্ব দিতে।

বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে। জনবলসহ নানা সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন।

সর্বশেষ