আরিফিন রিয়াদ॥
২২ বছর আগে স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বরিশালের কোরফুলি বেগমের। স্বমীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেই নেমে আসে ঘোর অন্ধকার কোরফুলি বেগমের জীবনে। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের সেই আসমানী কবিতার আসমানীর মতই চলতে থাকে কোরফুলি বেগমের জীবন। রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরের মতই গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৩ শতক জমির উপর তার জীর্ন কুটিরেই কাটে তার ২২টি বছর।
ক্ষুধার জ্বালা, রোদ বৃষ্টি আর সাপের ভয় নিয়েই কাটছিল তার জীবন। কিন্তু ঝিয়ের কাজ করে ক্ষুধার জ্বালা মিটালেও রোগ শোক আর মহামারি করোনার ছোবলে যেন থমকে গিয়েছিল তার জীবন। এখন নেই তার কাজ করার মত শারীরিক অবস্থাও। কোরফুলি বেগমের এই দুরবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন ঢাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও বড়দুলালী গ্রামের ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সী।
শনিবার সকালে সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও বড়দুলালী গ্রামের ইতালী প্রবাসী মিজানুর রহমান মুন্সীর নিজস্ব অর্থায়নে ঘর তৈরির কাজের উদ্ধোধণ করা হয়।
উদ্ধোধণী অনুষ্টানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ^াস, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান প্যাদা, ইউপি সদস্য খায়রুল আহসান খোকন, গণমাধ্যম কর্মীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। শেষ বয়সে মাথার গোঁজার একটু আশ্রয় পেয়ে খুশি কোরফুলি বেগম।