নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে বাসদের এক কর্মীর দায়ের করা চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মী রিপন মাঝিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে নগরীর বিমানবন্দর থানা ঘেরাও এবং আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তারকৃত কর্মীকে বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তির দাবি করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলি আফরোজ তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সোমবার (১৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর কাশীপুর এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু এবং শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের নেতৃত্বে দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিমানবন্দর থানার সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ কর্মী রিপন মাঝির মুক্তি দাবি করেন।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু সাংবাদিকদের বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যা অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তার মুক্তির দাবি করে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে তার মুক্তি দেয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন হাসান মাহমুদ বাবু।
এ ব্যাপারে নগরীর বিমান বন্দর থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, মামলার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুরো বিষয়টি পুলিশের রুটিন কাজ। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই বলে দাবি তার।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বাসদ জেলা শাখার সদস্য গোলাম রসুল বাদী হয়ে ইজিবাইক থেকে অবৈধভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এর মধ্যে এক নম্বর আসামি রিপন মাঝিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। ওই মামলার দুই নম্বর আসামি রাফসানের পিতা জসিম উদ্দিন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।