১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে বৃদ্ধ কৃষককে মারধর, যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের ডিপজলন গ্রামের এক বৃদ্ধ কৃষককে মারধর করায় যুবলীগ নেতা হুমাউন কবিরের বিরুদ্ধে মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় মামলা দায়ের করার পরও আসামী ঘুড়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ তাকে গ্রেফতার আইনের আওতায় না আনার অভিযোগ উঠেছে বৃদ্ধ কৃষকে ফজলুর রহমানের পরিবার থেকে।

মামলা সূত্রে যানা যায়- চলতি বসরের ১১ মে সন্ধ্যায় বৃদ্ধ কৃষক ফজলুর রহমান (৬২) বাসায় হামলা চালিয়ে মামলার স্বাক্ষি মোঃ আলমগীর হোসেন রাসেল হাওলাদার, মোসাঃ ফিরোজা বেগম, মোসাঃ আমেনা খাতুন, মোসাঃ সালমা খাতুনকে আহত করে। পরবর্তিতে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুনরায় থানায় মামলা দিতে গেলে প্রথমে মামলা গ্রহনে অপরগতা প্রকাশ করে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ। পরবর্তি সময়ে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে হামলার শিকার ভুক্তভোগী পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি মামলা গ্রহন করার নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিন মামলা গ্রহনের অনিহার পর চলতি মাসের ২ই তারিখ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। থানায় মামলা রেকর্ড হওয়ার পরপরই বৃদ্ধ কৃষককে ফাঁসাতে নাটকীয়ভাবে একটি মামলা দায়ের করে টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হুমাউন কবীর।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, টুঙ্গিবাড়িয়া এলাকার বহু অপকর্মের হোতা হুমাউন। তিনি বর্তমান সরকারের দলের নেতা হওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে কেহ ভয়তে মুখ খুলতে চায় না। তাছাড়া থানা পুলিশের সাথে গভির সখ্যতা থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা থাকার পরও বীরদর্পে পুলিশের নাকে ডগায় ঘুড়ে বেরাচ্ছে।

মামলার বাদী বৃদ্ধ কৃষক ফজলুর রহমান জানান, হুমাউন কবীর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ার শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি সাবেক মেয়র শওকত হোসেনের আস্থাভাজন লোক হওয়ার সুবাদে চাকুরী দেয়া হয়।

হুমাউনের ভয়তে আমরা সর্বক্ষণ আতংকের ভিতর বসবাস করছি।

এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার তালুকদার বলেন, কৃষক ফজলুর রহমানকে মারধর ও বিভিন্ন হুমকি দেয়ার অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

সর্বশেষ