১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গৌরনদীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নলছিটি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান মনিরের গণজোয়ার।। নলছিটিতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে রাতভর নি*র্যা*তন, স্বামী কারাগারে এবার বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাচ্ছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু আজ থেকে, যেভাবে করবেন ১৫০ কিলোমিটার পথ হেঁটে কুয়াকাটা যাচ্ছে রোভার স্কাউটের ৪ সদস্য বরিশাল নগরীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধ*র্ষণ ঝালকাঠিতে প্রধান শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিবসহ কারাগারে ২ নেতা পিরোজপুরে আগুনে পুড়ে তিনটি বসত বাড়ি ছাই

বরিশালে ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল নারী!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

উজিরপুর প্রতিনিধি :: বরিশালের উজিরপুরে ধামুরায় জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টরস চেম্বারে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী ও আয়ুবেদিক সনদ প্রাপ্ত চিকিৎসক উম্মে কুলসুম ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে এলোপতি চিকিৎসার নামে রোগীদের ধোকা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, তিনি বরিশাল থেকে এসে সপ্তাহে ২দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে ও ২দিন ধামুরা জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য উৎঘাটনের জন্য জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে হাজির হয়। সেখানে গিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিন তালবাহানা শুরু করে। এমনকী সে এমবিবিএস ডাঃ কিনা তা জানতে চাইলে বলেন তার চেয়ে কোন অংশেই আমি কম নই। এরপর হোমিওপ্যাথিক , ইউনানী ও আয়ুবেধিক এর কিছু কাগজপত্রাদী দেখিয়ে পার পাবার চেষ্টা করে। এছাড়াও সে নিজেকে অনেক বড় ডাক্তারের পরিচয় দেয়।

আরো বলেন, আল্ট্রা স্নোনোগ্রাফি চিকিৎসায় উজিরপুরে তার তুলনা হয়না। ভ‚য়া ডাঃ পরিচয় দিয়ে নিজের প্রশংশা নিজেই করে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে চিকিৎসার নামে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে বলে দাবী করেন সচেতন মহল।

সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায়- জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সামনে বিভিন্ন ডাক্তারের সাইনবোর্ড সাটানো থাকলেও কারো দেখা মেলেনি। শুধু উম্মে কুলসুম চিকিৎসা দিচ্ছে সকল রোগীদের। একদিকে উজিরপুরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে একাধিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার।

অপরদিকে ভূয়া ডাক্তাররা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বর্তমানে রোগীর সেবা নয় যেন ব্যবসায় পরিনত হয়েছে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলি। এব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক উম্মে কুলসুম জানান হোমিওপ্যাথিক কোর্স শেষ করে সনদ পেয়েছি বলেই ডাঃ পরিচয় দিতে পারি এবং রোগীদের ডাঃ লেখা প্রেসকিপশন দিতে পারি। আমার কোন আইনি জটিলতা নেই। কাগজপত্র নিয়ে চ্যালেন্স মোকাবেলা করা আমার কাছে কোন বিষয় না। জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক জাকির হোসাইন মেহেদী কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে জানান আমাদের প্রতিষ্ঠানে ওই ডাঃ শুধু আলট্রা রিপোর্টের বিষয়টি দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান আমি শুনেছি হাসপাতালের সন্নিকটে ডিজিট্যাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ধামুরা জনসেবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে উম্মে কুলসুম এমবিবিএস ডাঃ না হয়েও ভ‚য়া ডাঃ পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এরপর আমি নিজেই তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিতে চেয়েছিলাম। হয়তো বিষয়টি টের পেয়ে কয়েকদিন ধরে সেখানে চিকিৎসা বন্ধ করেছে। তাই লিখিত অভিযোগটি দেখা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, কেউ এমবিবিএস ডাঃ না হলেও প্রেসক্রিপসনে ডাঃ লিখতে পারবেনা। লিখে থাকলে তা আইন সম্মত হবেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনতি বিশ্বাস জানান বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই দেখা হবে। ওই ভূয়া ডাক্তারের আইনগত বিচারের দাবী জানিয়ে সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করেন সচেতন মহল।

সর্বশেষ