১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় এমপি পঙ্কজ, হিজলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শেবাচিমের সব সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ শুরু করেছে : স্বাস্থ্য সচিব দুমকিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন উজিরপুরে মসজিদের কমিটি ও ইমাম দ্বন্দ্বে ,ফ্যান, মাইক ও আইপিএস খুলে নিলো প্রতিপক্ষরা। সাতলায় রাশেদ খান মেনন এমপি'র ৮১ তম জন্মদিন পালন। বোরহানউদ্দিনে মাটির নিচে চাপা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু কাঁঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২, টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে : পিরোজপুরে শেখ পরশ পটুয়াখালীতে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে প্রতি মাসে দিতে হয় হাজার টাকা দশমিনায় মোটরসাইকেল মার্কার কর্মীকে পেটালো প্রতিপক্ষ

বরিশালে হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৫৭ নেতাকর্মী খালাশ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরে ট্রাকে পেট্রোল বোমা মেরে চালকের সহকারীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৫৭ জন নেতাকর্মীকে বেকসুর খালাশ দেয়া হয়েছে। বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা রবিবার এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে মামলার ৩৫ জন আসামি উপস্থিত এবং ২২ জন অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার শানুহার এলাকায় একটি চলন্ত ট্রাকে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। ট্রাকে থাকা চালকের সহকারী মো. সোহাগ পুড়ে আঙ্গার হয়ে মারা যায়। পুড়ে যায় ট্রাকটি।

এ ঘটনায় উজিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. শহীদুর রহমান বাদী হয়ে ওইদিন সকালে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম খান, পশ্চিম জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাস্টার আব্দুল মান্নান ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুদ্দোহা আজাদসহ ৫৭ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৭ মে উজিরপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক ফারুক খান বিএনপি-জামায়াতের ৫৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন। মামলাটি বিচারের জন্য জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। সেখানে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ৫৭ আসামির সকলকে বেকসুর খালাশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন খায়ের বলেন, পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পুলিশ এই মামলাটি দায়ের করেছিলো। ঘটনার কোনো দেখা সাক্ষী নেই। আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ন্যায় বিচার করেছে। খালাশ পাওয়া আসামিরা খুশী।

এই মামলায় আসামিদের খালাশ পাওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক বলেন, ঘটনার দেখা সাক্ষী নেই। কারা কি বোমা মেরেছে কেউ দেখেনি। স্থানীয় সাক্ষী এমনকি আওয়ামী লীগের সাক্ষীরাও স্থানীয়ভাবে গা বাঁচাতে ঘটনার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে যথাযথ সাক্ষী দেয়নি। ট্রাইব্যুনাল বিচার করে সাক্ষীর ভিত্তিতে। রাষ্ট্রপক্ষের কাছে কাগজ ছাড়া কিছুই ছিলো না। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আসামিরা খালাশ পেয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

সর্বশেষ