২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বরিশালে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অসন্তোষ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালে সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের জন্য নির্মাণাধীন অবকাঠামোর (ভবন) কাজের অগ্রগতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেই সঙ্গে শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হতে দেরি হওয়া নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও বর্ধিত নির্ধারিত সময়ের (চলতি বছরের জুন মাস) মধ্যে হাসপাতাল ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের। আর এরপররই হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে নগরের আমানতগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতাল ভবন পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শুরুতেই তিনি শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় প্রকৌশলীরা জানান, ২০১৭ সালে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনাসহ বিভিন্ন কারণে নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে ভবনটি হস্তান্তর করার কাজ এগিয়ে চলছে।

এ সময় মন্ত্রী নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদের পরও তিন বছর অতিবাহিত হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চান। তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু মন্ত্রীকে জানান, প্রথমে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার কারণে নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে। এরপর পুকুর ভরাটসহ নানা সমস্যা সমাধানে একবছর শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া আশপাশের ভবনে ফাটল ধরায় পাইল ড্রাইভের প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছে। তবে বর্তমান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা জানান তিনি।

এরপর তিনি হাসপাতাল ভবনটি ঘুরে দেখেন এবং ভবনের নকশা ও কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে নগরের বান্দরোড সংলগ্ন সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের জন্য নির্মাণাধীন অবকাঠামোর (ভবন) কাজ পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ক্যান্সার হাসপাতালের নির্মাণ কাজের গতি একটু স্লো। আর একটু প্রোগ্রেস হওয়ার দরকার ছিল। আমরা পিডব্লিউটিকে বলেছি, যাতে কাজটি আরও অগ্রগতি লাভ করে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন কাজটি শেষ করে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পিডব্লিউডি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ