বরিশাল বাণী: ব্যাংকের সিঁড়িতে গ্রাহকের চোখে ক্যামিকেল ছিটিয়ে ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের সময় জনি ডোম (৩৮) নামে এক ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরে ফেলে গ্রাহক শাহাবুদ্দিন শেখ। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোডস্থ জেলখানা মোড় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
গ্রাহক শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি ব্যাংক থেকে ৫লাখ টাকা তুলে নিচে নামি। তখন ব্যাংকের ভিতর থেকে একলোক এসে বললো আপনাকে ব্যাংকে ডেকেছে। আমি শিড়ির মাঝামাঝি উঠতেই সে আমার চোখে কোন কেমিকেল জাতীয় কিছু নিক্ষেপ করে। তখন আমার টাকা ছিনতাই হচ্ছে বুঝতে পেরে আমি ওকে ঝাপটে ধরি। পরে আমার ডাকচিৎকারে লোকজন আসলে সে আর যেতে পারেনি। এরপরে পুলিশে খবর দেই।
অগ্রণী ব্যাংক সদর রোড শাখার ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) সমর রঞ্জন দর্জি বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন লেনদেনের জন্য। কিন্তু কে ছিনতাইকারী তা শনাক্ত করা অসাধ্য ব্যাপার। গ্রাহক শাহাবুদ্দিন ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তারা দুই ভাই একসঙ্গে এসে টাকা উত্তোলন করে রাস্তায় মোটরসাইকেলেও উঠেছেন। তখন ব্যাংকে পূর্বে থেকে ছদ্মবেশ ধারণ করা ছিনতাইকারী গিয়ে বলে, আপনাদের কী যেন ভুল হয়েছে? ম্যানেজার আপনাদের ডাকছেন। কথা শুনে সেই গ্রাহক গাড়ি থেকে নেমে যখন ব্যাংকের সিঁড়িতে উঠছিল তখন ছিনতাইকারী তার চোখে বালু ছুড়ে মারেন।
শাখার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক বলেন, গ্রাহক শাহাবুদ্দিন বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরে মাটিতে ফেলে দেন। এরইমধ্যে তার ভাই আমির হোসেন ঘটনাস্থলে চলে আসেন। দুই ভাই ছিনতাইকারীকে আটকে ফেলেন। এরপর ছিনতাইকারীকে ব্যাংকে এনে থানায় খবর দেওয়া হয়।
শাহাবুদ্দিনের ভাই আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার বিশ্বাস আটক ছিনতাইকারীর সঙ্গে চক্র জড়িত আছে। আমরা অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে ছিনতাইকারী চক্রকে খুঁজে বের করার।
তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টায় ছিনতাইকারী আটক করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের উত্তোলিত টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু অন্য কেউ হলে টাকা নিয়ে যেত। এজন্য ব্যাংকের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো উচিত।