১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস শুরু

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন শেষে কর্মস্থল ও বসবাসরত অবস্থানে ফিরে যেতে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ঢাকা ও চাঁদপুরগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল লঞ্চঘাট ছেড়ে যাচ্ছে নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলো। এতে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী। কেউ আগেভাগে লঞ্চে উঠতে না পেরে ফের বাড়ি চলে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে সপ্তাহব্যাপী শুধু বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চালুর অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চের নিয়মিত ও স্পেশাল সার্ভিসে মোট ১৫ লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। যা আগামী সপ্তাহব্যাপী প্রতিদিন ৯/১০ টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

লঞ্চগুলো হলো- নিয়মিত ছয়টি এমভি গ্রিনলাইন-৩, অ্যাডভেঞ্চার-৯ কুয়াকাটা-২, পারাবত-১১, সুন্দরবন-১১, সুরভী-৯ লঞ্চ এবং স্পেশালে যুক্ত হয়েছে নয়টি লঞ্চ। এরমধ্যে এমভি পারাবত-৯, এমভি মনামী, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-১, এমভি সুরভী-৮, এমভি সপ্তবর্ণা-১০, এমভি কীর্তনখোলা-১০, এমভি রেডসান-৫, এমভি রাজহংস-১০ ও এমভি ডায়মন্ড-৩ লঞ্চ।

আবু জাফর নামে চাঁদপুরগামী এক লঞ্চযাত্রী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) চাঁদপুর যাওয়ার জন্য বরিশাল লঞ্চঘাটে আসি। ঝালকাঠী থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটি বরিশাল লঞ্চঘাটে থেকে চাঁদপুর ভায়া ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার না থেমে সরাসরি লঞ্চটি ঢাকা চলে যায়। ফলে আর বৃহস্পতিবার চাঁদপুর যেতে পারিনি। তাই শুক্রবার আবার লঞ্চঘাটে আসছি।’

সনিয়া আক্তার নামে ঢাকাগামী আরেক যাত্রী বলেন, ‘গত দুদিন বিকেলে বরিশাল লঞ্চঘাটে আসলেও ঠেলাঠেলিতে তিন সন্তান নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারিনি। তাই শুক্রবার দুপুরে এসেই লঞ্চে উঠে বসে আছি।’

লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিসের বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজমল হুদা মিঠু সরকার।

তিনি জানান, ঈদুল আযহা উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরে যেতে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকা ও চাঁদপুরগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া বিকেলের মধ্যেই লঞ্চের ডেক, ছাদসহ বিভিন্ন স্থান যাত্রীদের চাপে ভরে যায়।

ফলে যাত্রীদের চাপে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল লঞ্চঘাট ছেড়ে যাচ্ছে নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলো। লঞ্চে উঠতে না পেরে অনেক যাত্রী তাদের গন্তব্যে স্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে নিয়মিত চলাচল লঞ্চের সাথে আরও কয়েকটি লঞ্চ যুক্ত করে মোট ১৫টি লঞ্চ সপ্তাহব্যাপী স্পেশাল সার্ভিসে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরিশাল লঞ্চঘাটে যাত্রিদের ঠেলাঠেলিতে ঢাকাগামী লঞ্চে উঠতে গিয়ে কীর্তনখোলা নদীতে দুই যাত্রীর পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

তবে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই দুই যাত্রীকে উদ্ধার করেছে লঞ্চের আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা।”

সর্বশেষ