২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশাল থেকে কর্মস্থলে ফিরতে যাত্রীদের ভোগান্তি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: ঈদ-উল ফিতর ও নববর্ষের টানা ছুটি শেষে এবার বরিশাল থেকে লঞ্চে ও বাসে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো। গত বছরের মতো এবারও সড়কপথে যাত্রীদের চাঁপ অনেকটা বেশি। পাশাপাশি পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দে যাতায়াতের জন্য নৌপথেও যাত্রীর চাঁপ রয়েছে।

বরিশাল নদীবন্দরের দায়িত্বরতরা বলছেন, গত ১৩ ও ১৪ এপ্রিল নৌপথে যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি চাঁপ ছিলো। আর পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের পরের দিন থেকে যাত্রীদের চাঁপ সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে যাত্রীরা অভিযোগ করেন, কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়কে পুঁজি করে সড়ক পথে তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

মো. আল-আমিন নামের এক দোকানের কর্মচারী পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ পালন করতে বরিশাল সদরে কাশিপুর নিজ গ্রামে আসেন, আবার ছুটি শেষে তড়িঘড়ি করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। বাসে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে যারা বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। অন্যদিকে কোনো উৎসবকে ঘিরেই যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ দেখেই কিছু অসাধু বাস ব্যবসায়ীরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, যাতে করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বরিশাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে এক টাকাও বেশি আদায় করা হচ্ছে না। পরিবহন বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী পেতে অনেকেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম মূল্যে যাত্রী পরিবহন করেন। আর ঈদের সময় যাত্রীরা সেটিকে ন্যায্য হিসেবে তুলে ধরেন। যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে এক টাকাও বেশি নেওয়া হয়ন না।

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আমাদের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নিরাপদ ঈদ যাত্রা দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।

সর্বশেষ