২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশাল থেকে ঢাকামুখী কোনো লঞ্চেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী কোনো লঞ্চেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। ভিড় ছিল ঈদের মতো। একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট পৌঁছে তৃতীয় শ্রেণির ডেকের ফটক বন্ধের নির্দেশ দেন।

আজ রোববার দুপুর থেকে বরিশাল নদীবন্দরে থাকা তিনটি লঞ্চে ভিড় একটু একটু বাড়তে থাকে। বিকেল গড়াতেই লঞ্চগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রতিটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার দেড় থেকে দুইগুণ যাত্রী ওঠানো হয়। বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু নিজে মাইকিং করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি কোনো যাত্রী।

একপর্যায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান র‌্যাব সদস্যদের নিয়ে নদী বন্দরে পৌঁছান। তিনি অবস্থা দেখে ডেকের ফটক বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনটি লঞ্চেরই ফটক বন্ধ করা হয়।

যাত্রীরা জানায়, স্বাস্থ্যবিধির কথা জানা থাকলেও মানছে না কেউ। এই অবস্থায় করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, ‘সাবধানতার চেষ্টা করলেও কেউ কথা শুনছে না। এর একপর্যায়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নদীবন্দরে পৌঁছান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। তিনি তিনটি লঞ্চেরই ডেক শ্রেণি বন্ধের নির্দেশ দেন।’

বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বন্দরে নোঙর করা তিনটি লঞ্চের ডেক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বরিশাল বন্দর থেকে রোববার সুন্দরবন-১১, সুরভী-৯ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। লঞ্চগুলোর মধ্যে শুধু সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সামনে জীবাণুনাশক টানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২৪ মার্চের পর এই প্রথম বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছে লঞ্চগুলো।

সর্বশেষ