নিজস্ব প্রতিবেদক :: আবদুস সবুর খান (৪৮) কখনো বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বড় কর্মকর্তা আবার কখনো আড়াই, কখনো প্লান পাশের বড় অফিসার আবার কখনো সিটি কর্পোরেশনের স্টাফ।
এমনই এক প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে আঞ্জুমা নামের এক গৃহবধু। আজ দুপুর একটার দিকে প্রতারক সবুর খান বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের আজিজিয়া হাউজিং এলাকায় গিয়ে গৃহবধু আঞ্জুমা’র কাছে তার প্লান দেখতে চান এবং জমি মাপঝোপ শুরু করেন। হঠাৎ করে এমন কান্ড দেখে অবাক গৃহবধু আঞ্জুমা। প্রতারক সবুর খান পরিচয় দেন তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্লানের বড় কর্মকর্তা।
প্লানের কাগজ আনতে দেরি হওয়ায় তেলে বেগুনে ক্ষেপে উঠেন প্রতারক। পরে আঞ্জুমা তার আত্মীয় স্বজনদের খবর দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হন ওই প্রতারক। একপর্যায়ে খবর চলে আসে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের স্টাফদের কাছে।
তারাও ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ মানুষের মতো কথা বলেন প্রতারকের সাথে।
তখন তিনি টাকা দিলে কাজ হবে বলে জানালে তারা টাকা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনে আসবেন ঘন্টাখানের মধ্যে বলে জানায়।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে টাকা নিতে ঘন্টাখানেক পরে আসেন প্রতারক সবুর খান। এমন সময় তাকে আটক করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি জানান এরকম আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আটক হওয়া বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ভূয়া কর্মকর্তা সবুর খান জানান, তিনি বানারীপাড়া এলজিইডি’র ডানিডা প্রকল্পে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে এলজিইডি’র ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের এক স্টাফ আছে কিন্তু প্রতারণার সাথে জড়িত কিনা তা আমার জানা নেই।