২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বরিশাল নগরীর সফল ডেইরি উদ্যোক্তা জেনিথ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দার মির্জা আবুয়াল হোসেনের বড় ছেলে সফল ডেইরি উদ্যোক্তা মির্জা ইফতেখারুল হোসেন জেনিথ। জানা যায়, ২০০১ সালে বরিশাল জেলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০০৩ সালে অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। বিবিএস, এমবিএস ও এলএলবি সম্পন্ন করার পর ব্যবসায় মন দেন।
অল্প কিছু টাকা দিয়ে কয়েকটি শংকর জাতের গাভি কিনে মির্জা ডেইরি ফার্ম শুরু করেছিলেন তিনি। এখন ২০টির বেশি গরুর মালিক জেনিথ। বছরে গরুর খামার থেকে আয় করছেন প্রায় ৫ লাখ টাকা। বর্তমানে তার মূল আয়ের উৎস হলো- মির্জা করপোরেশন প্যাকেটজাত দুধের ব্যবসা। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় ও গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস)এর বাস্তবায়নে আরএমটিপি প্রকল্পের ‘নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন’ শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের আওতায় দুধ প্যাকেটজাত করার জন্য জেনিথকে একটি আধুনিক প্যাকেটজাত মেশিন ক্রয়ে আংশিক অনুদান দেয়া হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তিনি প্যাকেটজাত দুধ উৎপাদন করে বিক্রি করেন। এখানে রয়েছে মিল্ক চিলিং প্লান্ট ও মিল্ক প্যাকেজিং মেশিন। প্যাকেটজাত দুধের মোড়ক অনুমোদনের জন্য সংস্থার সহায়তায় বিএসটিআই সনদায়ন করে দেয়া হয়।
প্রতিদিন তিনি প্যাকেটজাত ৪৫০ লিটার দুধ ২৫০ জন গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করেন ৩৬ হাজার টাকায়। মির্জা ইফতেখারুল ইসলাম জেনিথ আস্তে আস্তে লাভজনক ব্যাবসার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। পাশাপাশি ওই খামারের ২০টি গাভী থেকে প্রতিদিন ১৫০ লিটার দুধ বিক্রি করেন এবং বাকি ৩০০ লিটার দুধ তিনি কন্টাক্ট ফার্মের মাধ্যেমে ৩৫ জন গোয়ালার কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। বছরে ৮টি বাছুর বিক্রি করে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং দুধ বিক্রি করে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা প্রতিমাসে আয় করেন ।
শুধুই মির্জা ইফতেখারুল হোসেনই নন। তাকে দেখে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় অনুপ্রাণিত হয়ে ইতোমধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক বেকার যুবক। দুধ বিক্রির টাকায় চলে কয়েক শতাধিক মানুষের পরিবার। এমন উদ্যোগে অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নিজ খামারের গরুর দুধ থেকে খাটি ঘি উৎপাদনের জন্য জেনিথ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেন। সেখান থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগ রয়েছে তার।
তিনি ক্যাশবুক মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে সকল প্রকার ব্যবসায়িক হিসাব রাখেন। ডিজিটাল পেমেন্ট গেটওয়ে পদ্ধতির আওতায় বিকাশ মার্চেন্ট খোলা হয়েছে যার মাধ্যমে তিনি নিরাপদ ও দ্রুত সকল প্রকার লেনদেন ও বিল পেমেন্ট এ ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার করছেন।
মির্জা ইফতেখারুল হোসেন জেনিথ বলেন, শিক্ষিত হলেই চাকরি করতে হবে, এটি একটি ভুল ধারণা। উদ্যোক্তা হলে নিজের আয়ের পাশাপাশি অনেক কে চাকরি দেয়া যায়। যেটি আমি প্রমাণ কওে দেখিয়েছি।

সর্বশেষ