১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পটুয়াখালীতে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে প্রতি মাসে দিতে হয় হাজার টাকা দশমিনায় মোটরসাইকেল মার্কার কর্মীকে পেটালো প্রতিপক্ষ জাল ভোট পড়লেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ : ঝালকাঠিতে ইসি আহসান বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ বরগুনায় জুয়া খেলার ছবি তোলায় সাংবাদিককে মা*রধর, ক্যামেরা ছিন*তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় ১ কোটি স্বেচ্ছাসেবী গড়ে তোলার পরিকল্পনা মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসার নিয়োগে ৫০ লক্ষ টাকার উৎকোচ বানিজ্য ! পাথরঘাটায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে শোকজ বরিশালে বাড়ছে তালপাখার চাহিদা অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বরিশাল স্টেডিয়ামে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২২ জনের করোনা শনাক্ত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বিভাগে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ। এ নিয়ে বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৯ জনে। এর আগে গত ২০ এপ্রিল বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৯ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন।

আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১২ জন ও তাদের পরিবারের আরও তিনজন মিলিয়ে মোট ১৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ৩৩ জন রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। আক্রান্ত ২৬৯ জনের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ১১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় ১৫ জন, পিরোজপুরে একজন, বরগুনায় তিনজন, ঝালকাঠি জেলায় তিনজন আছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে সর্বোচ্চে রয়েছে বরিশাল জেলায়। বরিশালে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০৩ জন, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরগুনা। এ জেলায় আক্রান্ত ৪৭ জন। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলায় ৩৪ জন, পিরোজপুরে ৪১ জন, ভোলায় ১৭ জন, ঝালকাঠি জেলায় ২৭ জন।

সূত্র জানায়, গত ৯ এপ্রিল বরিশাল বিভাগে পটুয়াখালী ও বরগুনায় দুজন করোনা শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এ যাবৎ বিভাগে করোনা শনাক্ত সাতজন রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে বরগুনায় দুজন, পটুয়াখালীতে তিনজন, বরিশালে ও ঝালকাঠিতে একজন করে। তবে গত ২৮ মার্চ থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে ওই সাতজনের বাইরে আরও ২৯ জন মারা যান করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও এরপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে। এর পেছনে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং অসচেতনতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, সংক্রমণের ক্ষেত্রে মে মাসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে সতর্কতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই মাসে যতটা স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা তা মানা হচ্ছে না। ঈদকে সামনে রেখে বিপণিবিতানে ভিড়, সামাজিক দূরত্বকে অবহেলা করার জন্য সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।

সর্বশেষ