১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জাল ভোট পড়লেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ : ঝালকাঠিতে ইসি আহসান বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে পুলিশ বরগুনায় জুয়া খেলার ছবি তোলায় সাংবাদিককে মা*রধর, ক্যামেরা ছিন*তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় ১ কোটি স্বেচ্ছাসেবী গড়ে তোলার পরিকল্পনা মঠবাড়িয়ায় মাদ্রাসার নিয়োগে ৫০ লক্ষ টাকার উৎকোচ বানিজ্য ! পাথরঘাটায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে শোকজ বরিশালে বাড়ছে তালপাখার চাহিদা অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বরিশাল স্টেডিয়ামে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী গলাচিপায় নাগরিক কমিটি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রেস বিফ্রিং যুক্তরাজ্যে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা. শরিফুল হালিম

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোথায় যাবে বিএনপির ভোট

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সাঈদ পান্থ ::: বরিশাল সিটি নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততোেই উৎকণ্ঠা বাড়ছে ভোটারদের মাঝে। ভোটার ও সাধারণ মানুষদের মাঝে চলছে ভোট নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এছাড়া সিটি নির্বাচনে আসছে না বিএনপি। তাই লাঙ্গল ও হাতপাখার প্রার্থীরা বিএনপির ভোটারদের কাছে টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবী, বিএনপির ভোট নৌকায়ও চলে আসতে পারে।

এখন সিটিজুড়ে প্রশ্ন হচ্ছে- বিএনপির ভোটাররা কোথায় ভোট দেবেন। কোথায় যাবে বিএনপির ভোট?

বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বলেন, একসময় বরিশাল বিএনপির ঘাঁটি ছিল। তাদের একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। এই ভোট আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনে যাবে। জাপা ও ইসলামী আন্দোলন বিএনপির ভোটে ভাগ বসাতে চাচ্ছে।

সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশালের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, নৌকার প্রার্থীর প্রচারণা চলছে। একইভাবে মাঠে রয়েছে জাতীয় পাটি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা। একমাত্র বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তারা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তাদের ভোট নির্বাচনে ফ্যাক্ট হয়ে দাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। এই সরকারের অধীনে বিগত ১৫ বছরে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। গায়ের জোরে তারা ক্ষমতায় আসীন আছে। এই সরকারের অত্যাচারের কারণে সাধারণ ভোটাররা ও বিএনপির ভোটাররা আওয়ামী লীগ সরকারের বিপক্ষে ভোট দেবেন।

লাঙ্গলের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, জনগণ শঙ্কায় আছে, আমরাও শঙ্কিত। গত ১৮ সালের ভোটের ইতিহাস ভাল না। জনগণ মুখিয়ে আছে একটি সুষ্টু নির্বাচন দেখা ও ভোটে অংশ নিতে। এখনে ইভিএম একটি সংশয়। আমরা ব্যালটে ভোট চাই। পাশাপাশি সেনাবাহীনী মোতায়েন চাই।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, বরিশালে বিএনপির ভোট কোথায় যাবে তা বলা মুসকিল। আমরা ভোটারদের কাছে আবেদন করছি তারা যেন সৎ, আদর্শবান একজন প্রার্থীকে ভোট দেন।

বরিশাল মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড. মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ বলেন, ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএম। এই মেশিনের ভোট কোথায় যাবে, কী হবে জানা নেই। এমনকি রিকাউন্টিংও করার সুযোগ নেই। ইভিএম কিংবা ব্যালটে এই সরকারের ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না, এটাই চূড়ান্ত।

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ম পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন।

২০ বছর আগে পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয় বরিশাল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ বার হয়েছে নির্বাচন। এর মধ্যে ২ বার আওয়ামী লীগ ও ২ বার বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।

সর্বশেষ