১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাউফল পৌরসভার মেয়র জুয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

অনলাইন ডেস্ক ::: পটুয়াখালীর বাউফলের আলোচিত যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আল-আমিন এ আদেশ দেন।

এর আগে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে তা নামঞ্জুর হয়। মামলায় অনুপস্থিত বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও সমন জারি করা হয়েছে।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রিপন খান বলেন, যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস (২৯) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলসহ ১৬ জন আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে রোববার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। বাদীপক্ষ প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা আবেদন করলে আদালত পিবিআইয়ের প্রতিবেদন নামঞ্জুর করে মূল এজাহারে বর্ণিত ধারায় মামলা আমলে নেন। এ সময় অনুপস্থিত প্রধান আসামি বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও নিহত তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বলেন, পিবিআইয়ের তদন্ত চলাকালীন তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিনের কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অনাস্থার আবেদন করা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৪ মে বাউফল থানার সামনে একটি তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে পৌর মেয়র অনুসারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য তাপস কুমার দাস। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

চলতি বছরের ২৯ জুলাই মামলার প্রধান আসামি মেয়র জুয়েল, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করে অব্যাহিত চেয়ে পটুয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবদুল মতিন খান।

সর্বশেষ