১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

চরামদ্দিতে কালভার্ট আটকিয়ে বালু ভরাট ! ৮ পরিবার পানিবন্দি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১নং চরামদ্দি ইউনিয়নের উত্তর সঠিখোলা গ্রামে সরকারী কালভার্ট আটকিয়ে বালু ভরাট করায় মাসব্যাপী পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে ৮টি পরিবার। বালু ভরাটকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় দ্বারে দ্বারে দৌড়েও কোন প্রতিকার মিলছে না। স্থানীয় ইউপি মেম্বার আরিফুর রহমানের আত্মীয় হওয়ায় চেয়ারম্যানও কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। এমতাবস্থায় অসহায় পানিবন্দি পরিবারগুলো কি করবে কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ৯নং ওয়ার্ডের নিউ মার্কেটের দক্ষিণপাশে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছালাম হাওলাদার (ফারুখ) তার জমিতে ব্যবসায়িক মার্কেট করছেন। সেখানে কয়েকটি বাড়ি ঘরের পানি নিস্কাসনের একমাত্র কালভার্ট ভরাট করে বালু ফালানো হয়। এতে গত প্রায় ১মাস যাবৎ পানিবন্দি হয়ে পড়ে অন্তত ৮টি পরিবার। যার মধ্যে রয়েছে শামসুল হক মিন্টু, আলমগীর হোসেন আলম, ছত্তার জোমাদ্দার, নুর ইসলাম, তাজেল জোমাদ্দার, স্বপন হুজুর ও শাখাওয়াত এর পরিবার। ঘরে ঢুকতে হাটুর উপরে পানি। দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে এসব পরিবারগুলো। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে তারা প্রথমে ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিফুর রহমানের কাছে যায়। কিন্ত বালুভরাটকারী আরিফ মেম্বারের মামাতো ভাই হওয়ায় তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এরপরে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনিও আরিফ মেম্বারের বাধাঁর মুখে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন নি। এখন নিরুপায় হয়ে পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন তারা।
পানিবন্দি একজন শামসুল হক মিন্টু বলেন, গায়েরজোরে কালভার্ট আটকিয়ে আমাদেরকে পানিবন্দি করেছে। তাদেরকে বার বার বলার পরেও কালভার্টে পাইপ দেয়নি। কালভার্টে পানি নিস্কাসনের জন্য কয়েকটি পাইপ দিলে এভাবে পানি জমতো না। আমার পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় সেখানে নেট দিয়ে রেখেছি। মাছ কি পরিমান উঠে গেছে জানিনা। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।
আলমগীর হোসেন আলম বলেন, হাটু অব্দি প্যান্ট খাঁচিয়ে ঘরে যাওয়া আসা করতে হয়। কালভার্ট আটকিয়ে দেওয়ায় যে কোন মুহুর্তে আরো বৃষ্টি হলে আমাদের ঘরও তলিয়ে যেতে পারে। কেননা পানি নামার আর কোন পথ নেই। একমাত্র কালভার্টটি এভাবে আটকিয়ে আমাদেরকে মহাবিপদে ফেলেছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, এখানে বসবাসকারী এসব পরিবারের অনেকেই গত ইউপি নির্বাচনে আরিফ মেম্বারের পক্ষে কাজ করেনি। তাই তিনি এমন শোধ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে চরামদ্দি ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিফুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানি। দেখি কি করা যায়। আত্মীয়ের পক্ষ নেওয়া ও ভোট না দেওয়ার শোধ নিচ্ছেন কিনা ? এমন প্রশ্নের জবাবে আরিফ মেম্বার “একথা আপনাকে বলতে আমি বাধ্য না” এই বলে ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য চরামদ্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন খোকনের মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন বলেন, আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ