নজরুল ইসলাম আলীমঃ
বাকেরগঞ্জ উপজেলা কয়েকটি এলাকায় থামছেনা ডাকাত কালামের আতংক। কুখ্যাত এই ডাকাতের ভয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিনীদ্র রাত কাটাচ্ছেন। সপ্তাহব্যাপি কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতি ও ডাকাতি চেষ্টার ঘটনার কোন কুল কিনারা না হওয়ায় প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের ভিত নড়ে যাচ্ছে।
রাতভর গ্রামবাসির পাহারা ও পুলিশের অতিরিক্ত টহলের সত্তেও গ্রামে গ্রামে ডাকাত আতংক বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর যৌথ তৎপরতারই এ ঘটনার সফল সমাপ্তি হবে মনে করছেন সচেতন মহল। তাঁদের প্রশ্ন এসব কি ডাকাতি নাকি বিশেষ কোন মহলের উদ্দেশ্য বাস্থবায়নের চেষ্টা।সূত্র জানায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের মৃত গনি মীরের বখাটে পুত্র কালাম মীর।
ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ, খুনখারাবি, চাঁদাবাজি ও নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত ছিলেন।আর এজন্যই তিনি একাধিকবার জেল ও সাজা খেটেছেন। সম্প্রতি একটি ডাকাতি মামলায় দীর্ঘ দিন সাজা খাটার পর আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে তিনি পুনরায় তার একই কাজে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় । বর্তমানে তিনি দক্ষিণ অঞ্চলে গরু চুরিতে ব্যাপক কুকীর্তি অর্জন করেছেন। গতবছরের রমজান মাসে পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর নিবাসী মতলেব বয়াতির ৪ টি চার লক্ষ টাকার মূল্যের গরু চুরি করে এক অজ্ঞাত শক্তির কারণে পার পেয়ে যান। এই বছরের রমজানের আনুমানিক ১মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের বড় পুইউয়াটা গ্রামের নিবাসী মোকলেস হাওলাদারের এক লক্ষ টাকা মূল্যের একটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় । গরুটির মালিক কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ডাকাত কালাম মিরের কাছে গেলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবেন বলে হুমকি দেয় বলে ভুক্তভোগী জানায়।
এই রমজানের বেশ কিছুদিন পূর্বে ভবানীপুরের একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি ডাকাত হিরনকে ডাকাত কালাম তার এলাকায় ডাকাতির জন্য নিয়ে গেলে এলাকার সংক্ষিপ্ত জনতা হাতেনাতে ধরে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। কিন্তু ওই সময়ে ডাকাত কালাম মীর এক অজ্ঞাত শক্তি দিয়ে বাকেরগঞ্জ থানা থেকে ছাড় পেয়ে যা একই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক ইউপি সদস্য মন্টু গাজী জানান, প্রায় ১৫-২০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল আছে যা প্রত্যেকে সট পেন্ট ও কালো পোশাক পরিহিত অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করেন। তবে কোথাও কোথায় ঘরের দরজা ও জানালায় আগাত করে আতংকৃত সৃষ্টি করেন কালাম এর নেতৃত্বে এই ডাকাতদল।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলাউদ্দিন মিলনের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান পুলিশের অভিযান ও তদন্ত অব্যহত রয়েছে। তবে তিনি এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।