২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ভ্যাপসা গরম, অবশেষে বৃষ্টি ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও গভর্নর নিহ*ত নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ: ফিলি*স্তিনে গ*ণহ*ত্যা বন্ধের দাবী দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

বাকেরগঞ্জে নির্বাচন কর্মকর্তা-পুলিশের ওপর হা*মলায় ঘটনায় পৃথক দুই মামলা, গ্রেপ্তার ২

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে উপজেলা পরিষদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) বাকেরগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন।
এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বরে ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন। তারা ফলাফল না মেনে ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে (নির্বাচন কর্মকর্তা) রক্ষা করতে এলে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে তিনিসহ পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ওই নির্বাচন কর্মকর্তা। মামলায় একমাত্র নামধারী সাইফুল ইসলাম ডাকুয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করেছেন।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা এখন চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় এসআই ফারুক খান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া ও সমর্থকরা উপজেলার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কয়েকটি পটকা বিস্ফোরণ করা হয়। সে সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে আঘাতও করা হয়। তখন প্রার্থীকে উপজেলা মিলনায়তনে ডেকে এনে ফলাফল নিয়ে আপত্তি থাকলে আপিল করাসহ নানা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কিন্তু প্রার্থী ও সমর্থকরা না মেনে মিলনায়তনে থাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে কিল-ঘুষি লাথি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে রক্ষা করে।

তবে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ভোট কারচুপির মাধ্যমে স্থানীয় এমপির আপন ছোট ভাই আব্দুস সালাম মল্লিককে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। এ সময় আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে পুলিশ নির্বিচারে নারী-পুরুষদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা দেখিয়ে আমার একজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নেটওয়ার্কের দুর্বলতার কারণে নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী কেন্দ্র অনুযায়ী ফলাফল ওয়েবসাইটে আপলোড হতে দেরি হচ্ছিল। ফলে হিসাবটা আসতে দেরি হচ্ছিল। আর এতে ক্ষিপ্ত হন সাইফুল ইসলাম ডাকুয়ার সমর্থকরা। আর ওই সময় সেখানে সরকারি সুবিধাভোগী মেয়র পদমর্যাদার লোকমান হোসেন ডাকুয়াও উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা করেছে।

সর্বশেষ